You are currently viewing অ্যামেথিস্ট পাথর-Amethyst Stone
blue sapphire stone benefits

অ্যামেথিস্ট পাথর-Amethyst Stone

পৃথিবীতে যে কয়েকটি বহুমুখী উপকারী রত্ন পাথর রয়েছে তার মধ্যে অ্যামেথিস্ট বা পদ্মনীলা (Amethyst Stone) অন্যতম।সৌন্দর্য এবং উপকারিতার দিক দিয়ে এই পাথরটি অন্যান্য রত্ন পাথরের চেয়ে সর্বাধিক সমাদৃত। অ্যামেথিস্ট মূলত কোয়ার্টজ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি রত্ন পাথর। অ্যামেথিস্ট নামটি এসেছে গ্রিক শব্দ অ্যামেথিস্টোস থেকে। অ্যামেথিস্ট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে তার মনকাড়া বেগুনি রং এবং চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের জন্য।

natural amethyst stone price

অ্যামেথিস্ট পাথরের গঠন ও বৈশিষ্ট্য

অ্যামেথিস্ট (Amethyst Stone) রত্ন পাথরের প্রধান উপাদান  সিলিকা (SiO₂)। এবং এর বেগুনি রংয়ের জন্য দায়ী প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট আয়রন  (Fe³⁺)।   

রঙ: পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বেগুনি রঙের অ্যামেথিস্ট পাওয়া যায়। তবে অনেক সময় হালকা লাল আভা যুক্ত অ্যামেথিস্ট ও পাওয়া যায়। তবে বিশ্বব্যাপী বেগুনি রঙের অ্যামেথিস্টের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।  মোহ্‌স স্কেলে এই রত্ন পাথরের কঠোরতার মান ৭। যা এ পাথরকে একটি কঠিন পাথরে রূপান্তর করেছে ।ফলে এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী এবং মজবুত একটি পাথর।

ইতিহাসঃ

অ্যামেথিস্ট পাথরের এক সু-প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন সভ্যতায় এই রত্ন পাথর বিভিন্ন রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। এ পাথর শুধু তার সৌন্দর্যের জন্যই নয়, আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় দিক বিবেচনাতেও বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। চলুন বিভিন্ন সভ্যতায় অ্যামেথিস্ট (Amethyst Stone) পাথরের ব্যবহারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা: পিরামিডের দেশ খ্যাত মিশরে অ্যামেথিস্ট পাথরের ব্যবহার ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। মিশরীয় সভ্যতায় অ্যামেথিস্টকে মূলত সুরক্ষা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো । তৎকালীন মিশরীয় ফেরাউন এবং রাজারা অ্যামেথিস্টকের তৈরি বিভিন্ন অলংকার যেমনঃ আংটি,ব্রেসলেট ব্যবহার করতেন।অ্যামেথিস্ট তাদের ক্ষমতা, সৌভাগ্য ,সুরক্ষা এবং উচ্চ মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অলংকার হিসেবেও মিশরীয়রা অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করত।তারা বিশ্বাস করত অ্যামেথিস্টের তৈরি অলংকার তাদের সব ধরনের অপশক্তি এবং বিপদ থেকে রক্ষা করে।  মৃতদেহ সৎকারেও মিশরীয়রা অ্যামেথিস্টের ব্যবহার করত। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরীয় ফারাও তুতেন খামেনের সমাধিতে পাওয়া অ্যামেথিস্টের তৈরি অলংকার তৈরি বিভিন্ন অলংকার থেকে।তৎকালীন মিশরে অ্যামেথিস্টের ব্যবহার এতটাই ছিল যে ,তারা মমি তৈরিতেও অ্যামেথিস্ট  ব্যবহার করত। তাদের বিশ্বাস ছিল এই  রত্ন পাথর তাদের পরকালীন জীবনে মুক্তি সাহায্য করে এবং মমিকে সুরক্ষিত রাখে । এটিকে তারা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত।

প্রাচীন গ্রিস: গ্রীকরা প্রধানত এক অদ্ভুত কারণে অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করতো।এর পিছনে একটি প্রচলিত মিথ্যা আছে। গ্রিক পুরাণ অনুসারে, ডায়োনিসাস ছিলেন মদ্যপান এবং আনন্দের দেবতা। তিনি একবার মদের নেশায় মাতাল হয়ে একটি মেয়েকে অভিশাপ দিতে চেয়েছিলেন।কিন্তু দেবী ডায়ানা সেই মেয়েটিকে রক্ষা করতে গিয়ে পাথরে পরিণত হন  এবং সেই পাথরে ডায়োনিসাসের চোখের পানি পড়ে বেগুনি রং হয় যা পরবর্তীতে  অ্যামেথিস্ট নামে পরিচিতি লাভ করে। মূলত এ গল্প থেকেই অ্যামেথিস্ট পাথরকে মদ্যপান হতে সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

অ্যামেথিস্ট শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “অ্যামেথিস্টোস” (ἄμᾰθῠστος) থেকে, যার আভিধানিক অর্থ”মদ্যপান থেকে মুক্ত”। তৎকালীন গ্রীকরা বিশ্বাস করত এই পাথর তাদের মাতাল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ।এজন্য, তারা মদ্যপানের পাত্রে অ্যামেথিস্ট পাথর রাখত। তারা বিশ্বাস করত অ্যামেথিস্ট পাথর নেশা কাটাতে এবং মদ্যপানকারীকে মানসিক স্থিরতা কাটাতে সাহায্য করে। এমনকি তারা মদ তৈরির প্রধান উপাদান আঙ্গুরের মত এই পাথরকেও মূল্যবান মনে করত।অলংকার হিসেবেও অ্যামেথিস্ট  গ্রিকদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে ছিল। তারা অ্যামেথিস্টের তৈরি বিভিন্ন আংটি, নেকলেস, কানের দুল ব্যবহার করত । গ্রিক রাজ পরিবারের সদস্যরাও অ্যামেথিস্ট পাথরের তৈরি অলংকার ব্যবহার করত । তারা মর্যাদা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করত ।ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেও  অ্যামেথিস্ট ব্যবহৃত হতো ।তৎকালীন সময়ে অ্যামেথিস্টের তৈরি গহনা ছাড়া কোন বিবাহ সম্পন্ন হওয়া যেন অসম্ভব ছিল। আধ্যাত্মিক দিক বিবেচনাতেও এই পাথর তৎকালীন সময়ে দেশ জনপ্রিয় ছিল।মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে গ্রীকরা এই পাথর ব্যবহার করত।

রোমান সভ্যতা: রোমানরা আভিজাত্যের প্রতিক  হিসেবে অ্যামেথিস্ট  ব্যবহার করতো।রোমান সম্রাটরা  তাদের মুকুটে অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করত। রোমানরা যখন কোন যুদ্ধে যেত তখন তারা অ্যামেথিস্ট সঙ্গে রাখত।তাদের বিশ্বাস ছিল  এই পাথর তাদের সকল ধরনের বিপদ থেকে  রক্ষা করে শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে।চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানসিক অস্থিরতা ,অনিদ্রা দূর করতে রোমানরা  অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করতো। বিভিন্ন  শোভা বর্ধন অলংকার এবং  স্থাপনা নির্মাণেও তারা অ্যামেথিস্টের ব্যবহার করত।

উৎস: প্রাকৃতিকভাবে যে কয়েকটি রত্ন পাথর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম  অ্যামেথিস্ট।চলুন অ্যামেথিস্ট পাথরের সবচেয়ে বড় কয়েকটি খনি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।  

ব্রাজিল:পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি  অ্যামেথিস্ট  পাওয়া যায় ব্রাজিলে। ব্রাজিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অ্যামেথিস্ট উৎপাদনকারী দেশ।ব্রাজিলের মিনা জেরোনিমো, মিনা বুয়ার্কেস এবং অন্যান্য অঞ্চলে উচ্চমানের অ্যামেথিস্ট পাওয়া যায়।  

যুক্তরাষ্ট্র: পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যামেথিস্ট উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে অ্যামেথিস্ট পাওয়া যায়।   

মরক্কো:মরক্কোর ইফরান এবং মিদেল অঞ্চলে উচ্চমানের অ্যামেথিস্ট পাওয়া যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকা:দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে অ্যামেথিস্টের খনি রয়েছে।

অ্যামেথিস্ট পাথরের জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যবহারের উপকারিতা

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী অ্যামেথিস্ট (Amethyst) খুবই মূল্যবান একটি পাথর। এই পাথর দেখতে যেমন চমকপ্রদ তেমনি এর গুনাগুনও বিস্ময়কর।চলুন জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী অ্যামেথিস্ট পাথর ব্যবহারের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক। 

মানসিক শান্তি ও স্থিতি: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী অ্যামেথিস্ট ব্যবহারে জীবনে শান্তি ও স্থিতি আসে এবং মানসিক দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। মনোযোগ বৃদ্ধিতেও এই পাথর সাহায্য করে।  

আধ্যাত্মিক উন্নতি: জ্যোতিষীরা দাবি করেন যে, এই পাথর আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং অন্তর্দৃষ্টির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এমনকি আত্মিক সংযোগ  সুদৃঢ়  করতেও  এই পাথর অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

 শারীরিক উপকারিতা: এই পাথর স্নায়ুবিক সিস্টেমকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে  পাশাপাশি মাইগ্রেন অথবা মাথা ব্যাথা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

সম্পর্ক উন্নতি: অ্যামেথিস্ট সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য এবং বিশ্বাস স্থাপনের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। প্রেম এবং ভালবাসার সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। পারিবারিক বন্ধন মজবুত করে।

 

সৃজনশীলতা ও জ্ঞান: সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধিতে অ্যামেথিস্ট অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এই পাথর ব্যবহারে নতুন নতুন ধারণা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটে। 

অর্থনৈতিক সফলতা: ব্যক্তিজীবন এবং ব্যবসায়িক জীবনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে অ্যামেথিস্ট সাহায্য করে।  অ্যামেথিস্ট রত্ন পাথরসহ আরো অন্যান্য রত্ন পাথরের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং জ্যোতিষরাজ ,রত্ন বিশারদ লিটন দেওয়ান চিশতীর সঙ্গে।  জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী।ব্যক্তি জীবনের সকল অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সনামধন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের দর্শনে আসুন।অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবীদ, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সরকারী কর্মকর্তা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লিটন দেওয়ান চিশতির পরামর্শ, দিকনিদের্শনা ও তার কাছ থেকে রত্নপাথর ব্যবহার করে সুফল লাভের পর তাকে সনদ প্রদান করেছেন। তার পরামর্শ, নির্দেশনা ও পরামর্শে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হন।জ্যোতিষ রাজের দর্শন পেতে আজই চলে আসুন।

ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪

Email: info@ajmerigemshousebd.com

অ্যামেথিস্ট পাথর নিয়ে প্রচলিত মিথ এবং কল্পকাহিনী

অ্যামেথিস্ট একটি প্রাচীন রত্ন পাথর হওয়ায় একে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের মিথ এবং কল্পকাহিনী গড়ে উঠেছে। চলুন এক নজরে  প্রচলিত কয়েকটি মিথ এবং কল্পকাহিনী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

প্রাচীনকালে  রোমানরা বিশ্বাস করত যে , এই পাথর তাদের ভালোবাসার  দেবতা কাপিডের  বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট এবংএই পাথর ব্যবহারে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হয়।দাম্পত্য জীবনকে সুখী এবং সমৃদ্ধশালী করতে রোমানরা এই পাথর ব্যবহার করত।

খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে অ্যামেথিস্ট ব্যবহার করত।তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলে অ্যামেথিস্ট পাথরের কথা উল্লেখ রয়েছে।খ্রিস্টানরা এই পাথরকে বিশ্বাস সততা, সচ্ছলতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করত।

অ্যামেথিস্ট পাথরের আধুনিক গহনার ডিজাইন

গহনা প্রেমীদের কাছে অ্যামেথিস্ট পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকবে।এর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যেকোনো গহনা প্রেমীদের মুগ্ধ করতে বাধ্য।একবিংশ শতাব্দীতে এসেও অ্যামেথিস্টের চাহিদা বিন্দুমাত্র কমেনি। নিচে অ্যামেথিস্টের তৈরি আধুনিক গহনার ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

অ্যামেথিস্ট পাথরকে ছোট ছোট টুকরো করে  সলিটেয়ার রিং হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সাথে প্ল্যাটিনাম যুক্ত করলে পাথরের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে এবং আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। হ্যালো রিং হিসাবেও অ্যামেথিস্ট পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে।হীরের সংমিশ্রণে তৈরি হ্যালো রিং বাগদান কিংবা বিবাহের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।বর্তমানে বিবাহের ক্ষেত্রে এই রিং দেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।    

অ্যামেথিস্ট পাথর ব্যবহার করে স্টেটমেন্ট নেকলেস তৈরি করা যেতে পারে।যা বেশ শোভনীয় এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।  অ্যামেথিস্ট পাথর দিয়ে তৈরি চোকার স্টাইলের নেকলেস বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।নিজেকে আকর্ষণীয় এবং স্মার্ট  করে তুলতে আপনি এই ধরনের অ্যামেথিস্ট পাথরের তৈরি নেকলেস ব্যবহার করতে পারেন । এছাড়াও যারা সিম্পল এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ক্লাসিক নেকলেস পছন্দ করেন তারাও অ্যামেথিস্ট পাথরের নেকলেস ব্যবহার করতে পারেন।      

যারা ফ্যাশন সচেতন তাদের জন্য অ্যামেথিস্ট পাথর দিয়ে তৈরি বিডেড ব্রেসলেট এক নতুন উপযোগ হিসেবে সাহায্য করবে এর স্টাইলিশ লুক যেকোনো কাউকে মুগ্ধ করবে। অ্যামেথিস্ট পাথরকে ড্রপ ইয়ার রিং হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।বিভিন্ন পার্টি কিংবা অনুষ্ঠানের জন্য এই ধরনের ইয়ার রিং উপযুক্ত।

আসল অ্যামেথিস্ট চেনার উপায়

যে জিনিসটি যত দামি তার নকল ও তত বেশি।বাজারে আসল অ্যামেথিস্টের পাশাপাশি এখন নকলের ছড়াছড়ি বেশি।তাই আসল এবং নকলের পার্থক্য করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে অ্যামেথিস্টের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে আসল এবং নকলের পার্থক্য করা যায়।চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ইতঃপূর্বে আমরা জেনেছি যে আসল অ্যামেথিস্টের রঙ সাধারণত বেগুনি রঙের হয়ে থাকে এবং এর ভিতর থেকে নীল এবং লাল আভার বিচ্ছুরণ ঘটে।  রঙের এই বৈশিষ্ট্য প্রায় প্রত্যেকটি পরিবেশে একই রকম থাকে।পক্ষান্তরে নকল অ্যামেথিস্টের খুবই উজ্জ্বল বা  অস্বাভাবিক বেগুনি রঙের হয়ে থাকে।তাই অ্যামেথিস্ট কেনার সময় রঙের এই বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসল এবং নফলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।

মোহস স্কেলে অ্যামেথিস্টের কঠোরতার মান ৭।এটি একটি কঠিন রত্ন পাথর হওয়ায় এর উপর সহজে স্ক্রাচ করা যায় না। অন্যদিকে নকল পাথরে খুব সহজে স্ক্রাচ করা যায়।সেই সাথে পাথরটি খুবই নরম এবং ভঙ্গুর হয়ে থাকে। এভাবে আপনি আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।  
আপনি তাপমাত্রা পরীক্ষার মাধ্যমেও আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। আসল অ্যামেথিস্ট পাথর সাধারণত ঠান্ডা প্রকৃতির হয়ে থাকে। আবহাওয়া যতই গরম থাকুক না কেন  এই পাথর  ঠান্ডা থাকবে।কিন্তু  নকল পাথর খুব সহজেই গরম হয়ে যায়। 

আসল অ্যামেথিস্ট পাথর চেনা আরেকটি উপায় হচ্ছে  ইউভি পরীক্ষা। ইউভি আলোর নিচে এই পাথর কিছুটা সবুজ এবং সাদা আলোর আভা প্রকাশ করে।কিন্তু নকল অ্যামেথিস্ট পাথর ইউ ভি আলোর নিচে খুবই উজ্জ্বল আলো এবং  নীল আলো প্রকাশ করে।ইউভি আলোর এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি আসল অ্যামেথিস্ট খুঁজে বের করতে পারেন।

আপবৃন্তি বা  (Refractive Index) পরীক্ষার মাধ্যমেও আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।আসল পাথরের Refractive Index মান সাধারণত ১.৫৪ থেকে ১.৫৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু নকল পাথরের মান আপবৃন্তি পরীক্ষায় অনেক কম হয়ে থাকে।এভাবে আপনার কাঙ্খিত আসল পাথরটি  খুঁজে বের করতে পারবেন। 

মোহর স্কেল সাত হওয়ায় অ্যামেথিস্ট একটি কঠিন পাথর অতএব সাধারণভাবেই এর ভর এবং ঘনত্ব বেশি থাকে তাই এই পাথর খুব সহজেই পানিতে ডুবে যায়।শুধু নকল পাথর হালকা হয় এটি পানির উপর ভেসে থাকতে পারে। 

উপরোক্ত পরীক্ষা গুলোর মাধ্যমে আপনি আসল অ্যামেথিস্ট নির্ণয় করতে পারেন তবে এসবের জন্য  আপনাকে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।আপনি যদি এসব  ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে নিশ্চিন্তে আপনার কাঙ্খিত অ্যামেথিস্ট সংগ্রহ করতে চান তাহলে “আজমেরী জেমস হাউজ” হতে পারে আপনার কাঙ্খিত স্থান। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সততা এবং নিষ্ঠার সহিত গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে আছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী  এবং রত্ন বিশারদ লিটন দেওয়ান চিশতী। তিনি মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে দেশে এবং দেশের বাইরে কুড়িয়েছেন খ্যাতি, সুনাম ও প্রশংসা। একদিনে নয় ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করতে হয়েছে। মানবসেবার পরিধি আরো বিসতৃত করার উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। তাই নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে আপনার কাঙ্ক্ষিত রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে আজই চলে আসুন “আজমেরী জেমস হাউজে”।

ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪

Email: info@ajmerigemshousebd.com

অথবা আপনি চাইলে ঘরে বসে ORDER NOW এই ঠিকানায় অর্ডার করেও আপনার পছন্দের অ্যামেথিস্ট সংগ্রহ করতে পারেন।

সর্বশেষ আপনাদের প্রতি একটাই পরামর্শ থাকবে রত্ন পাথর ব্যবহার করুন এবং এর সুফল  ভোগ করুন। ধন্যবাদ। 

Leave a Reply