আকিক পাথর বা (Agate) মূলত এক ধরনের প্রাকৃতিক রত্নকণা। আকিক ক্যালসিডোনি (Chalcedony) পরিবারের অন্তর্গত একটি রত্ন পাথর। এই রত্ন পাথরকে ফারসি এবং আরবীতে আকিক,ইয়ামিনী সংস্কৃতিতে হেলেক এবং মিনারোলজীতে মেলসিডিনিক সিলিকা নামে ডাকা হয়।
আকিক পাথরের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এই রত্ন কণার নির্দিষ্ট কোন রঙ নেই। পৃথিবীর সকল রত্ন পাথরের নির্দিষ্ট কিছু রঙ থাকে কিন্তু আকিক এক্ষেত্র সম্পন্ন বিভিন্ন। আকিক পাথরের নির্দিষ্ট কোন রঙ নেই। আমরা আজকে এই আকিক পাথর সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আকিক পাথরের গঠনঃ
আকিক পাথরের (Agate) প্রধান রাসায়নিক উপাদান সিলিকা-ডাই-অক্সাইড (SiO2)। আকিক মূলত ক্যালসিডোনি (Chalcedony) এবং কোয়ার্টজের (Quartz) মিশ্রণ হিসেবে গঠিত হয়ে থাকে। আর এই আকিক পাথর সাধারণত আগ্নেয় শিলার গহ্বরে বা ফাটলে গঠিত হয় বলে এটি সিলিকা সমৃদ্ধ হয়।
আকিক পাথরের প্রকারভেদঃ
আকিক পাথরের (Agate) সুনির্দিষ্ট কোন প্রকারভেদ নেই। তবে আকিকের অভ্যন্তরীণ স্তর,প্যাটার্ন এবং খনিজ উপস্থিতির ভিত্তিতে বেশ কয়েক ধরনের হতে পারে। চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেই।
১. ব্যান্ডেড আকিক (Banded Agate):
এ ধরনের আকিক পাথর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।এই আকিকগুলো সাধারণত সাদা,বাদামি এবং কালো রঙের হয়ে থাকে।
২. মস আকিক (Moss Agate):
মস আকিক সাধারণ আকিক পাথরের তুলনায় ছোট আকৃতির হয়ে থাকে এবং এই আকিকে ম্যাঙ্গানিজের মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
৩. ফায়ার আকিক (Fire Agate):
এই গ্রুপের আকিক গুলো উজ্জ্বল লাল আভার হয়ে থাকে।
৪. ডেনড্রিটিক আকিক (Dendritic Agate):
এই ধরনের আকিকে অনেকটা গাছের শাখার মটো প্যাটার্ন দেখা যায়। এই ধরনের আকিকগুলো আয়রন অক্সাইড এবং ম্যাঙ্গানিজের সমন্বয়ে তৈরি হয়।
৫. ব্লু লেস আকিক (Blue Lace Agate):
ব্লু লেস আকিক সাদা এবং নীল রঙের হয়ে থাকে। এই শ্রেণীর আকিকগুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
৬. স্যার্ডোনিক্স আকিক (Sardonyx Agate):
ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাচীন গ্রীক এবং রোমানরা স্যার্ডোনিক্স আকিক ব্যবহার করত। এই ব্রান্ডের আকিকগুলো ব্রাউন এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে।
৭. আই-আকিক (Eye Agate):
আই-আকিককে কুনজর থেকে সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।আকিকের এই প্রকারটির প্যাটার্ন দেখতে অনেকটা চোখের মত হওয়ায় একে আই-আকিক নামে ডাকা হয়।
৮. স্নেক স্কিন আকিক (Snake Skin Agate):
স্নেক স্কিন আকিকের বাহ্যিক আবরণ দেখতে অনেকটা সাপের মত যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।
ইতিহাস:
আকিক পাথরের (Agate) ঐতিহাসিক গুরুত্ব বেশ সমৃদ্ধ।এই পাথরে রয়েছে হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস। বিভিন্ন সভ্যতায় আকিক ব্যবহৃত হয়েছে বিশেষ মর্যাদার সাথে।
১. প্রাচীন মেসোপটেমিয়া:
ইতিহাসবিদরা মনে করেন আকিক পাথরের প্রথম ব্যবহার শুরু হয় প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়। এই সভ্যতায় সৌভাগ্য এবং সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে আকিক পাথর ব্যবহার করা হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল এই পাথর তাদের বিভিন্ন অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে।
২. প্রাচীন মিশর:
প্রাচীন মিশরীয়রা আকিক পাথর অলংকার হিসেবে ব্যবহার করত। এমনকি তারা মমি সংরক্ষণেও আকিক পাথর ব্যবহার করত। তারা বিশ্বাস করত আকিক পাথর মৃতদেহকে সুরক্ষিত রাখে এবং পরকালে নাজাত দেয়।
৩. গ্রীক এবং রোমান সভ্যতা:
প্রাচীন গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় আকিক পাথর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। তারা যুদ্ধের সময় আকিক পরিধান করত। তারা বিশ্বাস করত আকিক তাদের যুদ্ধে শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী করতে অলৌকিকভাবে সাহায্য করে।
৪. ইসলামিক সভ্যতা:
মুসলিম বিশ্বে আকিক পাথরকে বরকত এবং সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।
উৎস ও খনিঃ
আকিক পাথরের রঙের ভিন্নতা এবং গঠনের কারণে খনির অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।চলুন সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
১. ব্রাজিল:
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকিক পাথরের খনি রয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলে উৎপন্ন আকিক সারা বিশ্বে রপ্তানি হয়ে থাকে। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় আকিকের খনি রয়েছে রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল অঞ্চলে।
২. উরুগুয়ে:
ব্রাজিলের পর সবচেয়ে বেশি আকিক রপ্তানি কারক দেশের তালিকায় রয়েছে উরুগুয়ে। উরুগুয়ে অঞ্চলের আকিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রঙের গভীরতা এবং স্বচ্ছতা। এই অঞ্চলের আকিকগুলো গভীর উজ্জল রঙের হয়ে থাকে।
৩. ভারত:
ভারত রেড আকিক এবং কার্নেলিয়ান আকিকের জন্য জগৎ বিখ্যাত। ভারতের মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে আকিকের খনি রয়েছে।বিশ্ববাজারে ভারতের আকিকের বিশেষ কদর রয়েছে।
৪. যুক্তরাষ্ট্র:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন, মন্টানা এবং আরিজোনা রাজ্যে আকিক পাথরের খনি রয়েছে ।এখানকার আকিকগুলো বেশ নান্দনিক এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
৫. জার্মানি:
ইউরোপে জার্মানিকে আকিক পাথরের বড় একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।জার্মানির ইডার-ওবারস্টেইন অঞ্চল আকিক উৎপাদনের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ।
বিভিন্ন ধর্মে আকিক পাথরের গুরুত্বঃ
আকিক পাথরকে বিভিন্ন ধর্মে বেশ গুরুত্বের সাথে ব্যবহৃত হয়। ধর্ম দিক বিবেচনায় এটি বেশ গুরুত্ব বহন করে।
১. ইসলাম ধর্ম:
বিখ্যাত বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক “আফলাতুন” তাঁর “Khawas ul Jawahir” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন- সাদা রঙের আকিক পাথর স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।অন্যদিকে হলুদ রঙের আকিক পাথর সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং লাল আকিক পাথর সম্মান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এমনকি বনি ইসরাইলরাও কল্যাণের জন্য আকিক পাথর ব্যবহার করত। “আল দাই আল ফাতেমি” ও “সাইয়েদনা হাটিম মহিউদ্দিন তাদের বই আল মাজালিস আল হাতিমিয়াহতে উল্লেখ করেছেন-হযরত আদম (আঃ) আকিক পাথরের আংটি ব্যবহার করতেন এবং সেই আংটির রঙ ছিল লাল।
২. হিন্দুধর্ম:
হিন্দু ধর্মে আকিক পাথরকে “কেতু রত্ন” নামে ডাকা হয়। “কেতু রত্ন” হলো নবগ্রহের নয়টি রত্নের একটি। হিন্দু ধর্মে আকিক পাথরকে কুদৃষ্টি,শত্রুর ক্ষতিকর প্রভাব, মানসিক উদ্বেগ এবং উত্তেজনাজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩. খ্রিস্টান ধর্ম:
খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের Old Testament-এ আকিক পাথরের উল্লেখ পাওয়া যায়।এছাড়াও Exodus-তেও আকিক পাথরের উল্লেখ রয়েছে।খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা আকিক পাথরকে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে
আকিক পাথরের উপকারিতাঃ
সাইয়েদ ইব্রাহিম সাইফী তার বিখ্যাত গ্রন্থ “Marifat al Jawahir”-তে আকিক পাথরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।চলুন সেইগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
আকিক পাথর ব্যবহারে রাগ কমে যায়। মন প্রশান্ত হয়।পাশাপাশি সৃজনশীল চিন্তার প্রসার ঘটে।
আকিক পাথর কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে ,দরিদ্রতা দূর করে সচ্ছলতা আনতেও আকিক পাথর সাহায্য করে।
পেশাগত জীবনে উন্নতির ক্ষেত্রেও আকিক পাথর ভূমিকা রাখে। মনোযোগ বৃদ্ধি করতেও আকিক পাথর সাহায্য করে। এই পাথর মানসিক দৃঢ়তা এবং সহ্যশক্তি বাড়ায়। আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য এই পাথর বেশ কার্যকরী।উন্নত মানসিকতা গঠনেও আকিক পাথর ভূমিকা রাখে। দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে আকিক পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও আপনি আকিক পাথরের আরো গুনাগুন এবং ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জানতে আজই চলে আসুন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী,বাংলাদেশের জ্যোতিষ শাস্ত্রের পথপ্রদর্শক উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জোতিষী লিটন দেওয়ান চিশতী মানব সেবায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবীদ, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সরকারী কর্মকর্তা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লিটন দেওয়ান চিশতির পরামর্শ, দিকনিদের্শনা ও তার কাছ থেকে রত্নপাথর ব্যবহার করে সুফল লাভের পর তাকে সনদ প্রদান করেছেন।
রাশি ভেদে আকিক পাথরের ব্যবহারঃ
চলুন এক নজরে বিভিন্ন রাশি ভেদে আকিক পাথর ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
১. বৃষ (Taurus):
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আকিক পাথর বিশেষভাবে উপকারী। মানসিকভাবে স্থিতিশীল করতে বৃষ রাশির জন্য আকিক পাথর বিশেষভাবে উপকারী।
২. মিথুন (Gemini):
মিথুন রাশির জন্য এই রত্ন পাথর মনোযোগ বৃদ্ধি এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৩. কর্কট (Cancer):
কর্কট (Cancer) রাশির জাতক-জাতিকাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্য বৃদ্ধি করতে আকিক পাথর ব্যবহারের জুড়ি নেই ।
৪. সিংহ (Leo):
সিংহ রাশির ব্যক্তিদের আত্মবিশ্বাস এবং মনবল বৃদ্ধি করতে আকিক পাথর সাহায্য করে ।
৫. ধনু (Sagittarius):
আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং জীবনের সমৃদ্ধি আনতে ধনু বা Sagittarius রাশির জন্য আকিক পাথর খুবই উপকারী।
৬. কুম্ভ (Aquarius):
কুম্ভ রাশির জন্য আকিক পাথর মানসিক স্থিতিশীলতা এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আসল আকিক পাথর চেনার উপায়ঃ
সাধারণত আসল আকিক পাথর গাঢ় উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে।অন্যদিকে নকল পাথর ফ্যাকাসে এবং বর্ণহীন হয়ে থাকে।রঙের এই বৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করে আপনি আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন।
আসল আকিক পাথর স্বচ্ছ হয়।কিন্তু নকল আকিক পাথর অস্বচ্ছ এবং ঘোলাটে প্রকৃতির হয।
আসল আকিক পাথর ঠান্ডা প্রকৃতির হয়ে থাকে। এটি হাতে নিয়ে অনুভব করার মাধ্যমে আপনি আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবেন।
তবে একবিংশ শতাব্দীতে আসল এবং নকলের পার্থক্য করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে,আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান রত্ন পাথরটি অবশ্যই বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে কেনা উচিত।সবচেয়ে ভালো হয় অভিজ্ঞ কোন জ্যোতিষীর তত্ত্বাবধানে রত্ন পাথর ক্রয় করা। এক্ষেত্রে আপনাদের সাহায্য করতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রত্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আজমেরী জেমস হাউজ। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ কয়েক দশক যাবত বিশ্বস্ততা, সততা এবং নিষ্ঠার সাথে মানব সেবা করে আসছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো,প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে আছেন দেশ সেরা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।রত্ন পাথরের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাজারে নানা রকম রত্নপাথর পাওয়া যায়। চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাদের রং আর উজ্জল বর্ণচ্ছটার আভা দেখলে। কিন্তু এসব রত্নপাথরের ভিড়ে কি করে চিনবেন আসল পাথর। রত্নপাথর আসল নাকি নকল বোঝার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ চোখ। জানতে হবে রত্নপাথরের আকৃতি, রঙ, স্বচ্ছতা ও ভেতরের সুক্ষ্ম যে সব অবাঞ্চিত পদার্থ থাকে সে সম্পর্কে। তার বিন্যাস দেখে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে হবে। অতএব ,কোন ধরনের ধোঁকা এবং প্রতারণা ছাড়া আপনার পছন্দের আকিক পাথর সংগ্রহ করতে চাইলে আজই চলে আসুন শেষ দর্শন আজমেরী জেমস হাউজ। ঠিকানাঃলেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ এবং ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও অর্ডার করে সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইনে অর্ডার করার পর চালিয়ে ভিজিট করুন Ajmeri Gems House ।
আকিক পাথরের গহনা আইডিয়াঃ
১. অ্যাঙ্গেল চেন:
যারা সাদামাটা কিন্তু ক্লাসিক লুক পছন্দ তাদের জন্য আকিক পাথরের তৈরি
অ্যাঙ্গেল চেন হতে পারে বেস্ট অপশন। এই ধরনের অ্যাঙ্গেল চেন দেখতে যেমন ক্লাসিক সেই সাথে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
২. আংটি:
আকিক পাথর দিয়ে সুন্দর সুন্দর তৈরি হয়ে থাকে।আপনি একজন আংটি প্রেমী হলে,আকিক পাথর থাকবে পছন্দের তালিকার সবার উপরে।এই ধরনের আংটি মোহনীয় এবং শৈল্পিক প্রদান করে।
৩. ব্রেসলেট:
একাধিক আকিক পাথর দিয়ে তৈরি ব্রেসলেট যেকোনো কাউকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। আপনি চাইলে একই রঙের কিংবা একাধিক রঙের আকিক পাথর দিয়ে ব্রেসলেট তৈরি করতে পারেন।
৪. এয়াররিংস:
বর্তমানে আকিক পাথরের তৈরি এয়ার রিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ধরনের এয়ার রিং বেশ আকর্ষণীয় এবং শৈল্পিক লুক প্রদান করে থাকে।
এছাড়াও বর্তমানে আকিক পাথরে তৈরি পেনডেন্ট , ব্রোচ ,চুড়ি গহনা প্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
আকিক পারের পরিচর্যাঃ
আকিক পাথরের স্থায়িত্ব এবং উজ্জ্বলতা দেখার জন্য নিয়মিত এর পরিচর্যা করা উচিত। আকিক পাথরের পরিচর্যার জন্য নিম্নোক্ত উপায় গুলো আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
সর্বপ্রথম আকিক পাথর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।এজন্য নরম কাপড় এবং সাবান মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে পাথরটি ধুয়ে নিতে হবে।তবে সতর্ক থাকতে,কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক অথবা অত্যাধিক গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।
দ্বিতীয়তঃ আকিক পাথরকে অন্য ধাতুর (সোনা,রুপা,হীরা ইত্যাদি) সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে। যথাসম্ভব খেয়াল রাখতে হবে আকিক পাথরে যেন কোন ধরনের স্ক্র্যাচ না হয় ।এতে করে পাথরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রকৃত সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
আকিক পাথরকে দীর্ঘ সময় ধরে রোদে রাখবেন না। অতিরিক্ত তাপের কারণে আতিকের রঙ এবং স্বচ্ছতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কোন ধরনের ভারী বা গৃহস্থলী কাজ করার সময় আকিক পাথরের তৈরি অলংকার খুলে রাখা উচিত। কেননা এতে পাথরটির আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সর্বশেষ,নির্দিষ্ট সময় পর পর পাথরটি কোন রত্ন বিশারদের
সাহায্য নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি কোন সমস্যা পাওয়া যায় যত দ্রুত সম্ভব সেটির সমাধান করতে হবে। অন্যথায় পাথরটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর হ্যাঁ, “Agate is not just a gem; it’s a piece of Earth’s history, capturing its essence and beauty in every layer.”