You are currently viewing আসল বাঘের চোখের পাথর (Tiger’s Eye Stone): সৌভাগ্য ও সুরক্ষার প্রাকৃতিক রত্ন

আসল বাঘের চোখের পাথর (Tiger’s Eye Stone): সৌভাগ্য ও সুরক্ষার প্রাকৃতিক রত্ন

আসল বাঘের চোখের পাথর (Original Tiger’s Eye Stone)  একটি প্রাকৃতিক রত্নপাথর, যা মূলত কোয়ার্টজ পরিবারের অন্তর্গত। এটি তার অনন্য রঙ এবং চকচকে ভাবের জন্য পরিচিত, যা বাঘের চোখের মতো দেখায়। এই পাথরটি সাধারণত সোনালি-বাদামি বা সোনালি-হলুদ রঙের হয় এবং এতে রেশমের মতো চকচকে ভাব (ক্যাটস আই ইফেক্ট) দেখা যায়। 

নামকরণের কারণঃ

আসল বাঘের চোখের পাথরের নামকরণের পেছনে মূল কারণ হলো এর চকচকে ভাব এবং রঙ, যা সরাসরি বাঘের চোখের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই পাথরে আলোর প্রতিফলনের কারণে একটি বিশেষ অপটিক্যাল ইফেক্ট দেখা যায়, যাকে “ক্যাটস আই ইফেক্ট” বলা হয়। যখন পাথরটি আলোর নিচে ঘোরানো হয়, তখন এটি বাঘের চোখের মতো একটি রেখা বা আলোর প্রতিফলন দেখায়। এছাড়াও, পাথরটির সোনালি-বাদামি বা সোনালি-হলুদ রঙ বাঘের চোখের প্রাকৃতিক রঙের সাথে মিলে যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই পাথরটির নাম “বাঘের চোখ” রাখার পেছনে মূল কারণ। পাথরটি শক্তি, সাহস এবং রহস্যময়তার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়, যা বাঘের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়।

আসল বাঘের চোখের পাথরের (Original Tiger’s Eye Stone) বৈশিষ্ট্যঃ 

আসল বাঘের চোখের পাথরের (Original Tiger’s Eye Stone) বৈশিষ্ট্য

  • রঙ: এর রঙ সাধারণত সোনালি-বাদামি, সোনালি-হলুদ বা লালচে-বাদামি হয়। রঙের এই সমন্বয় পাথরটিকে খুবই আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • চকচকে ভাব (ক্যাটস আই ইফেক্ট): আলো পড়লে পাথরটিতে বাঘের চোখের মতো চকচকে ভাব দেখা যায়। এই অপটিক্যাল ইফেক্টকে “ক্যাটস আই ইফেক্ট” বলা হয়।
  • কাঠিন্য: মোহস স্কেলে এর কাঠিন্য ৫.৫ থেকে ৬.৫ পর্যন্ত হয়, অর্থাৎ এটি তুলনামূলকভাবে শক্ত পাথর।
  • উজ্জ্বলতা: পাথরটির পৃষ্ঠতল মসৃণ এবং রেশমের মতো উজ্জ্বল দেখায়।
  • স্বচ্ছতা: এটি সাধারণত অস্বচ্ছ বা আধা-স্বচ্ছ হয়, অর্থাৎ এর ভেতর দিয়ে আলো পুরোপুরি দেখা যায় না।
  • প্রাকৃতিক গঠন: এটি কোয়ার্টজ পরিবারের অন্তর্গত এবং প্রাকৃতিকভাবে সিলিকায় তৈরি হয়। এর গঠনে ক্রাইসোটাইল নামক খনিজের উপস্থিতি থাকে, যা এর চকচকে ভাব সৃষ্টি করে।
  • ওজন: আসল বাঘের চোখের পাথর তুলনামূলকভাবে ভারী হয়।
  • উৎস: এটি প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়। 

উপকারিতাঃ

আসল বাঘের চোখের পাথর (Original Tiger’s Eye Stone) শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, এর আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। এই পাথরটি বিভিন্নভাবে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিশ্বাস করা হয়। এর কিছু প্রধান উপকারিতা হলো:

আসল বাঘের চোখের পাথর উপকারিতা

উপকারি এ মূল্যবান পাথরটি সংগ্রহ করতে আজই অর্ডার করুন  । অর্ডার করতে (Order Now ) বাটনটি ক্লিক করুন এবং উপভোগ করুন প্রশান্তময় জীবন ।

আধ্যাত্মিক ও মানসিক উপকারিতা:

  • সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: এটি সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।
  • মানসিক স্থিতিশীলতা: মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ভয় কমাতে সাহায্য করে।
  • ফোকাস ও একাগ্রতা: মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে।
  • সুরক্ষা: নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়

শারীরিক উপকারিতা:

  • শক্তি বৃদ্ধি: দুর্বলতা কাটাতে এবং শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে: শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • চোখের স্বাস্থ্য: চোখের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
  • হজমশক্তি উন্নত করে: হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে সহায়ক।

জ্যোতিষশাস্ত্রে উপকারিতা:

  • বৃহস্পতির প্রভাব বৃদ্ধি: জ্যোতিষশাস্ত্রে এটি বৃহস্পতি গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর ইতিবাচক প্রভাব বাড়ায়।
  • সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি: এটি সৌভাগ্য, সম্পদ এবং সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

আবেগিক উপকারিতা:

  • আবেগিক ভারসাম্য: আবেগিক অস্থিরতা কমিয়ে মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • ইতিবাচকতা: নেতিবাচক চিন্তা দূর করে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে।

অন্যান্য উপকারিতা:

  • সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা: জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

আসল পাথর চেনার উপায়ঃ

আসল বাঘের চোখের পাথর (Original Tiger’s Eye Stone) চেনার জন্য কিছু সহজ উপায় রয়েছে। নকল বা সিন্থেটিক পাথর থেকে আসলটি আলাদা করতে এই বৈশিষ্ট্যগুলো জানা জরুরি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আসল বাঘের চোখের পাথর চিনবেন:

আসল পাথর চেনার উপায়

১. রঙ এবং চকচকে ভাব (ক্যাটস আই ইফেক্ট):

  • আসল বাঘের চোখের পাথরের রঙ সাধারণত সোনালি-বাদামি, সোনালি-হলুদ বা লালচে-বাদামি হয়।
  • আলো পড়লে পাথরটিতে বাঘের চোখের মতো চকচকে ভাব দেখা যায়, যাকে “ক্যাটস আই ইফেক্ট” বলে। এই চকচকে ভাব নকল পাথরে ঠিক মতো দেখা যায় না।

২. ওজন:

  • আসল পাথর তুলনামূলকভাবে ভারী হয়। নকল পাথর সাধারণত হালকা হয়।

৩. কাঠিন্য:

  • মোহস স্কেলে এর কাঠিন্য ৫.৫ থেকে ৬.৫ পর্যন্ত। অর্থাৎ, এটি কাচের চেয়ে শক্ত। যদি কোনো ধারালো জিনিস দিয়ে স্ক্র্যাচ করতে চেষ্টা করেন, তাহলে আসল পাথরে সহজে স্ক্র্যাচ পড়বে না।

৪. স্বচ্ছতা:

  • আসল বাঘের চোখের পাথর সাধারণত অস্বচ্ছ বা আধা-স্বচ্ছ হয়। এর ভেতর দিয়ে আলো পুরোপুরি দেখা যায় না। যদি পাথরটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়, তাহলে সেটি নকল হতে পারে।

৫. প্রাকৃতিক দাগ এবং অসমতা:

  • আসল পাথরে প্রাকৃতিক দাগ, রেখা বা কিছু অসমতা থাকতে পারে। যদি পাথরটি একদম নিখুঁত এবং মসৃণ দেখায়, তাহলে সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৬. দাম: 

  • আসল বাঘের চোখের পাথরের দাম সাধারণত বেশি হয়। যদি খুব কম দামে পাথরটি পাওয়া যায়, তাহলে সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৭. পরীক্ষা করার উপায়:

  • আলোর পরীক্ষা: আলোর নিচে পাথরটি ঘোরালে আসল পাথরে চকচকে ভাব (ক্যাটস আই ইফেক্ট) দেখা যায়।
  • তাপ পরীক্ষা: আসল পাথর তাপ সহ্য করতে পারে। যদি হালকা তাপ দিলে পাথরটি গলে যায় বা বিকৃত হয়, তাহলে সেটি নকল।

৮. বিশ্বস্ত বিক্রেতা থেকে কেনা:

  • সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিশ্বস্ত এবং প্রামাণিক জায়গা থেকে পাথর কেনা। নকল পাথর এড়াতে গয়না দোকান বা রত্নপাথর বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে কেনাই নিরাপদ।

তবে বিশ্বস্ততার প্রশ্নে , সবার আগে যে নামটি এগিয়ে থাকবে সেটি হচ্ছে আজমেরী জেমস হাউজ। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৩০ বছর যাবত সততা এবং নিষ্ঠার সহিত মানব সেবা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী। তাই আপনার কাঙ্খিত এবং মূল্যবান রত্ন পাথরটি কিনতে আজই চলে আসুন শেষ দর্শন আজমেরী জেমস হাউজ।

যোগাযোগের ঠিকানা:
  • ঠিকানা:
    লেভেল-০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪, ৮৭, ১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।
  • মোবাইল নম্বর:
☎  +৮৮০১৭৬৩৩৫৫০৯০
☎  +৮৮০১৭১১৫৯৪০৮৮
☎  +৮৮০১৭৭৭০০৩৩৮৮
☎  +৮৮০১৭৭৭০০৩৩৪৪

Leave a Reply