You are currently viewing ইরানি ফিরোজা পাথর- Irani Feroza stone
Best Quality Irani Feroza Stone

ইরানি ফিরোজা পাথর- Irani Feroza stone

বিখ্যাত আমেরিকান খনিজবিদ এবং রত্ন বিশারদ জর্জ ফ্রেডরিক কুনজ (George Frederick Kunz) বলেছিলেন- “Gems are the flowers of the mineral kingdom.” তার বলা এই কথাটি যেন পুরোপুরি মিলে যায় ইরানি ফিরোজা পাথরের সাথে। পৃথিবীতে বিস্ময়কর সৌন্দর্যের  যে কয়েকটি রত্ন পাথর রয়েছে তার মধ্যে ইরানি ফিরোজা পাথর অন্যতম।এই পাথরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়নি এমন চোখ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতে এই পাথরে ঢেলে দিয়েছেন।এই মূল্যবান রত্ন পাথরকে   রানি ফিরোজা পাথর বা তুরকীজ পাথর (Turquoise Stone) আর ফিরোজা পাথর(Feroza Stone) নামেও ডাকা হয়। আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রবার্ট সিমন্স ফিরোজা পাথরে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন,”Turquoise is a stone of protection, strong and opaque, yet soothing to the touch, healing to the eye, as if carved from an azure heaven and slipped to earth.” চলুন হাজারও গুনে গুণান্বিত  ইরানি ফিরোজা সম্পর্কে নিচের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

blue copper turquoise gemstone price

নামকরণ

ফিরোজা শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ  ‘ফেরোজা’ থেকে বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় বিজয়ী। 
অন্যদিকে ইরানের পাহলভি ভাষায় ফিরোজাকে বলা হয় বলা হয় ‘ফিরুজে’, যার আভিধানিক অর্থ ঔজ্জ্বল্য । এর নামকরণ নিয়ে ইতিহাসে তেমন সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় না তবে ধারণা করা হয় যে পাথরটির উন্নত মানের গুনাগুন  এবং সৌভাগ্যের প্রসূত হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে একে ফিরোজা নামে ডাকা হয়।

ফিরোজা পাথরের ইতিহাস

ফিরোজা পাথরের ইতিহাস হাজার বছরের বিভিন্ন সভ্যতা এবং বিভিন্ন যুগে এই পাথর ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।

প্রাচীন মিশরঃ

পিরামিডের দেশ মিশরে ফিরোজা পাথরের ব্যবহার শুরু হয় প্রায় ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পূর্বে । তৎকালীন মিশরীয় ফারাওরা এই পাথর মূল্যবান অলংকার ,মূর্তি এবং তাবিজে ব্যবহার করতেন।মিশরীয়রা ফিরোজাকে  পবিত্রতা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করত। তাই পরবর্তীতে মিশরীয় বিভিন্ন ফারাও-এর সমাধিতেও ফিরোজার সন্ধান পাওয়া গেছে ।ধর্মীয় কাজে ফিরোজা ছিল তৎকালীন মিশরের অন্যতম প্রধান উপযোগ।

প্রাচীন ইরানঃ

ইরানিরা ফিরোজাকে বিজয় নামে ডাকতো। তারা বিশ্বাস করত এই পাথর তাদের সব ধরনের অপশক্তি এবং বিপদ থেকে রক্ষা করে। পৃথিবীতে পাওয়া ফিরোজা পাথরের মধ্যে ইরানি ফিরোজা সবচেয়ে বিখ্যাত ।ইরানের নিশাপুর অঞ্চলে উৎকৃষ্ট মানের ফিরোজা পাওয়া যেত।

তুরস্ক ও ইউরোপঃ

অনেকে বিশ্বাস করেন যে ,ফরাসি শব্দ “পিয়েরে টার্কোয়াইজ” (pierre turquois),বা “তুর্কি পাথর”, থেকে ফিরোজা পাথরের নামকরণ করা হয়েছে ।সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই তুরস্কের মাধ্যমেই ফিরোজা ইউরোপে প্রবেশ করেছিল। তুর্কিরা  এই পাথরকে সৌভাগ্য এবং সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত।অলংকার হিসেবেও তারা ফিরোজা ব্যবহার করত। 

আধুনিক যুগঃ

একবিংশ শতাব্দীতে এসেও  ফিরোজা চাহিদা এবং মূল্য বিন্দুমাত্র কমেনি। এখনো অনেক রত্ন প্রেমীরা এই পাথরকে সৌন্দর্য এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন এর উজ্জ্বল নীল সবুজ রং যে কোনো গহনা প্রেমীদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। ফিরোজার এই দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস একে বিশ্বজুড়ে সম্মানিত করেছে।

ফিরোজা পাথরের মিথ এবং কাহিনী

ফিরোজার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো হওয়ায়  একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মিথ এবং কল্পকাহিনী।চলুন তেমনি কয়েকটি প্রাচীন মিথ এবং কল্পকাহিনী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

প্রাচীন মিশরঃ

মিশরের কল্পকাহিনীতে  ফিরোজাকে দেবতার দেয়া আশীর্বাদপুষ্ট উপহার হিসেবে বিশ্বাস করা হতো। মিশরীয়রা বিশ্বাস করত এই পাথর তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সব ধরনের অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। মিশরীয় ফেরাউনরা এই পাথর সব সময় তাদের সঙ্গে রাখতেন  কারণ তারা বিশ্বাস করত এই পাথর তাদের সঙ্গে থাকলে তারা যে কোন শত্রু মোকাবেলা করতে সক্ষম।ধর্মীয় এবং সামাজিক আচার অনুষ্ঠানেও তারা ফিরোজা পাথরের ব্যবহার করতেন। 

মেসোআমেরিকাঃ

মায়া এবং আজটেক সভ্যতায় ফিরোজা পাথরকে দেবতাদের উপহার হিসেবে ব্যবহার করা হত। সেই সময় একটি প্রচলিত মিথ ছিল যে, কেতজালকোয়াটলের (Quetzalcoatl) দেবতার সঙ্গে ফিরোজা পাথরের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে  । কেতজালকোয়াটল ছিল মূলত সভ্যতা এবং সৌন্দর্যের দেবতা ।

প্রাচীন ইরানঃ

তৎকালীন ইরানিরা বিশ্বাস করত ফিরোজা পাথর ব্যবহার করে কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে সে যুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত। ইরানিরা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ফিরোজা ব্যবহার করত ।

তিব্বতঃ

তিব্বতের কল্পকাহিনীতে ফিরোজা সম্পর্কে বলা আছে যে ,এই পাথর সকল ধরনের কালো জাদু এবং অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে।তাই তিব্বতিরা  নিজেদের সুরক্ষার জন্য ফিরোজা পাথর তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করত।

নেটিভ আমেরিকানঃ

তৎকালীন স্থানীয় আমেরিকানরা দেবতা ফিরোজা পাথরকে  ইশিকি (Estsanatlehi) বিশেষ আশীর্বাদ মনে করত ।তারা বিশ্বাস করত এই পাথর তাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে ।তারাই পাথরকে বিশেষ সম্মানের সাথে ব্যবহার করত।

ফিরোজা পাথরের সাথে রাশি চক্রের সংযোগ

ফিরোজা পাথর (Turquoise) হলো একটি জনপ্রিয় রত্নপাথর। এটি শুধু সৌন্দর্য বা সৌভাগ্যের জন্যই  বিখ্যাত নয় এর  রয়েছে বিশেষ গুণ। তবে ধনু এবং কুম্ভ রাশির জন্য ফিরোজা পাথর বিশেষভাবে উপকারী। চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

ধনু রাশি (Sagittarius):

ফিরোজা পাথরকে ধনু রাশির জন্য শুভ ও সৌভাগ্যের প্রতি হিসেবে মনে করা হয়। এই রাশির ব্যক্তিদের জন্য আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ফিরোজা পাথর বিশেষভাবে উপযোগী।

কর্ম ক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় সাফল্য লাভের জন্য ফিরোজা পাথর এই রাশির জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে ।

কুম্ভ রাশি (Aquarius):

কুম্ভ রাশির জন্য ফিরোজা পাথর মানসিক স্থিতি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

তবে একটা কথা ,

কোন রাশির পক্ষে  ফিরোজা পাথর ব্যবহার করা উচিত আর কোন রাশির পক্ষে ব্যবহার করা উচিত নয় তা একমাত্র কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পক্ষে বলা সম্ভব।তাই ফিরোজা রত্ন পাথর ব্যবহার করার আগে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন , উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।  ব্যক্তি জীবনের সকল অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সনামধন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের দর্শনে আসুন।

সঠিকভাবে সঠিক রত্নপাথর কিনতে আজই চলে আসুন “আজমেরী জেমস হাউজে “।

ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪

Email: info@ajmerigemshousebd.com  

ফিরোজা পাথরে অলংকারে ব্যবহার ও ডিজাইন আইডিয়াঃ

ইরানি ফিরোজা পাথর তার সৌন্দর্যের জন্য গহনা প্রেমীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের নাম । সেই প্রাচীনকাল থেকেই ফিরোজা অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।চলুন ফিরোজা পাথরের অলংকার হিসেবে কিছু ব্যবহার এবং ডিজাইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

নেকলেস (Necklaces):
অলংকার হিসেবে ফিরোজা পাথরের নেকলেস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।এ তৈরি নেকলেস অন্যান্য রত্ন পাথরের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। 

কানের দুল (Earrings):

ফিরোজা পাথরকে ছোট ছোট করে কানের দুল আকারেও ব্যবহার করা যেতে পারে।এত সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ।

ছোট ছোটব্রেসলেট (Bracelets):

ইরানি ফিরোজার তৈরি ব্রেসলেট  আপনার ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে।

আংটি (Rings):
ফিরোজা পাথরের তৈরি আংটিও বেশ জনপ্রিয়।সোনা কিংবা রুপার পাতে ফিরোজা পাথর বসিয়ে আংটি তৈরি করা যেতে পারে । 

ফিরোজা পাথরের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

ফিরোজা একটি উপকারী রত্ন পাথর হওয়ায় প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এর  মাধ্যমে উপকৃত হয়ে আসছে।চলুন নীচে ফিরোজা পাথরের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।  

মানসিক সুস্থতা:

ফিরোজা পাথর ব্যবহার করলে মানসিক স্থিতি বৃদ্ধি পায় এবং অস্থিরতা দূর হয়।এমনকি দুশ্চিন্তা দূর করতেও এই পাথর অনেকটা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
 

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি:

পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে ফিরোজা পাথর সহায়তা করে।

মাইক্রোবায়াল কার্যকারিতা:

এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে,ফিরোজা পাথরের মধ্যে থাকা খনিজ উপাদানগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ এবং মাইক্রোবায়ালের কার্যকারিতা কমাতে সাহায্য করে।  

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব:

ফিরোজা পাথরে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ জীবাণুর  হাত থেকে রক্ষা করে। 

শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখা:

ফিরোজা পাথরের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি শরীরের তাপ এবং শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করে।

আয়নিক বৈশিষ্ট্য:

ফিরোজা পাথর ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে এবং দেহের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলিকে বিশেষভাবে প্রবাহিত করে।

ফিরোজা পাথরের মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তিঃ

ইতিবাচক শক্তির জন্য ফিরোজা পাথর বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।ইতিবাচক শক্তি আনার জন্য আপনি নিম্নোক্ত উপায়ে ফিরোজা পাথর ব্যবহার করতে পারেন।  

ফিরোজা পাথর পরিধানঃ

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে ফিরোজা পাথর ব্যবহারে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।এজন্য আপনি ফিরোজা পাথরের তৈরি ব্রেসলেট ,এয়ার রিং,আংটি ব্যবহার করতে পারেন।

ধ্যানের সময় ব্যবহারঃ

ধ্যানের সময় আপনি ফিরোজা পাথর ব্যবহার করতে পারেন।এটি আপনাকে গভীরভাবে মানসিক স্থিতি প্রদান করবে। 

বাড়িতে বা কর্মস্থলে রাখাঃ

অনেকে বিশ্বাস করেন যে বাড়িতে বা কর্মস্থলে ফিরোজা পাথর রাখলে ইতিবাচক ভাবধারা বিকশিত হয়। এজন্য আপনি কর্মস্থলে কিংবা আপনার বাড়িতে ফিরোজা পাথর রাখতে পারেন।

ফিরোজা পাথর দিয়ে মেডিটেশনঃ

ফিরোজা পাথর দিয়ে মেডিটেশন করলে মানসিক প্রশান্তি এবং গভীর চিন্তা ধারা বৃদ্ধি পায়।এজন্য আপনি মেডিটেশনের সময় ফিরোজা পাথর সাথে রাখতে পারেন।

 ফিরোজা পাথর দিয়ে জল শুদ্ধিকরণঃ

ফিরোজা পাথর পানিতে রেখে সেই পানি পান করলে দেহের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিকভাবে স্থিতি বৃদ্ধি পায়।তার আগে অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে ।

নেগেটিভ শক্তি মুক্ত করাঃ

ফিরোজা পাথর ব্যবহার করলে নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে মুক্ত থাকা যায় ।এটি ব্যবহারে  দেহ কর্মচঞ্চল থাকে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।

ফিরোজা পাথরের ভৌগোলিক উৎস ও খনিঃ

ফিরোজা পাথরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর দুষ্প্রাব্যতা। পাথরটি মূল্যবান হওয়ায় এটি সব জায়গায় পাওয়া যায় না। শুধু পৃথিবীর গুটিকয়েক সুনির্দিষ্ট স্থানে ফিরোজার খনি রয়েছে।চলুন আপনার এই মূল্যবান রত্ন পাথরের ভৌগোলিক উচ্চ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

 ইরান:
ফিরোজা পাথর নিয়ে আলোচনা করা হবে আর ইরানের নাম আসবে না সেটি কখনোই হতে পারে না। প্রাচীনকাল থেকেই ইরান ফিরোজা পাথরের জন্য বিখ্যাত ছিল।পৃথিবীর সব উৎকৃষ্ট মানের ফিরোজার  উৎস হচ্ছে ইরান।ইরানের নিশাপুর খনিতে পৃথিবীর উৎকৃষ্ট মানের ফিরোজা পাওয়া গেছে যা ইরানি ফিরোজা নামেও পরিচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:
আধুনিক বিশ্বের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও  ফিরোজার জন্য বিখ্যাত ।যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে হিরোজার খনি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এরিজোনা এবং নোভাডা খনি।

মেক্সিকো:

মেক্সিকোর সোনোরা এবং চিহুয়াহুয়া অঞ্চলে ফিরোজার খনি রয়েছে।

চীন:

চীনের হুবেই প্রদেশে ফিরোজার খনি রয়েছে ।

মিশর:

একসময় প্রাচীন মিশরের সাইনাই উপদ্বীপে ফিরোজা পাথর খনি ছিল  ।

আফগানিস্তান:

আফগানিস্তানের কাবুলের অন্তর্গত বেশ কিছু অঞ্চলে ফিরোজার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

আসল ফিরোজা পাথর চেনার উপায়ঃ

এই কলি যুগে আসল এবং নকলের পার্থক্য করা খুবই কঠিন কাজ।তবুও বেশ কিছু উপায়ে আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য বের করা যায়।চলুন সেই সম্পর্কেই জেনে নেয়া যাক।  

রঙ পরীক্ষাঃ
আসল ইরানি ফিরোজা পাথর নীলাভ বর্ণের হয়ে থাকে।আপনি ফিরোজা পাথর কেনার সময় রংয়ের এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারেন।

কঠোরতা পরীক্ষাঃ

মোহস স্কেলে ফিরোজা পাথরের কঠোরতা ৫-৬পর্যন্ত হতে পারে।তাই বলা যায় এটি মোটামুটি শক্ত পাথর। আপনি কখনোই ফিরোজার উপর আঁচড়ের ডাক বসাতে পারবেন না।আপনি এই বৈশিষ্ট্য দিয়েও আসল এবং নকলের পার্থক্য করতে পারবেন।

ওজনঃ 

আসল ফিরোজা পাথর তুলনামূলকভাবে ভারী হয়ে থাকে।

ঘনত্ব পরীক্ষাঃ

ফিরোজা পাথরের ঘনত্ব সাধারণত ২.৬-২.৯ পর্যন্ত হতে পারে । ঘনত্ব পরীক্ষা করেও আপনি আসল এবং নকলের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

তাপ পরীক্ষাঃ

আসল ফিরোজা পাথর কখনোই তাপ সহ্য করতে পারে না এবং এর রং কখনোই পরিবর্তন হয় না।ফিরোজা পাথরকে যদি তাপ দিলে গলে না  যায় এবং রঙের পরিবর্তন ঘটে তাহলে বুঝে নিতে হবে পাথরটি আসল নয়। 

পানি পরীক্ষাঃ

ফিরোজা পাথর সকল পরিস্থিতিতে একই রংয়ের হয়ে থাকে নকল ফিরোজা পাথর পানির সংস্পর্শে এলে রঙ্গের পরিবর্তন ঘটে।এই দিকটি বিবেচনা করেও আপনি আসল নকলের পার্থক্য করতে পারবেন। 

তবে একবিংশ  শতাব্দীতে এসে আসল নকলের পার্থক্য করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনি বুঝতেই পারবেন না কোনটি আসল আর কোনটি নকল। তাই আমাদের পরামর্শ হলো প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা বিশ্বস্ত  কোন মাধ্যম থেকে আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করুন । এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আজমেরী জেমস হাউস। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে রত্ন পাথর সরবরাহ এবং বিক্রি করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে আছেন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী।আজমেরী জেমস হাউজের

ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।

মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ 

Email: info@ajmerigemshousebd.com

এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরে বসে খুব সহজেই ORDER NOW এই ঠিকানায় অর্ডার করে আপনার কাঙ্খিত আসল ইরানি ফিরোজা সংগ্রহ করতে পারেন। 

Leave a Reply