You are currently viewing ওপাল পাথর (Opal Stone) কেন পরবেন? উপকারিতা ও সঠিক ব্যবহারের গাইড

ওপাল পাথর (Opal Stone) কেন পরবেন? উপকারিতা ও সঠিক ব্যবহারের গাইড

ওপাল পাথর হলো এক ধরনের হাইড্রেটেড অ্যামরফাস সিলিকা (SiO2·nH2O), যার পানি ধারণ ক্ষমতা ৩% থেকে ২১% পর্যন্ত হতে পারে, তবে সাধারণত ৬% থেকে ১০% এর মধ্যে থাকে। এর অনিয়মিত রাসায়নিক কাঠামোর কারণে এটি একটি মিনারেলয়েড হিসাবে বিবেচিত হয়, যা স্ফটিকযুক্ত সিলিকার মতো খনিজ নয়। সাধারণত এটি নিম্ন তাপমাত্রায় গঠিত হয় এবং বিভিন্ন শিলা, বিশেষ করে লিমোনাইট, স্যান্ডস্টোন, রাইওলাইট, মার্ল ও বাসাল্ট এর ফাটলে পাওয়া যায়।

ওপাল উৎসঃ

ওপাল নামটি সংস্কৃত শব্দ “উপল” (উপল) থেকে এসেছে, যার অর্থ “রত্ন”। পরবর্তীতে এটি গ্রিক ভাষায় ওপাল্লিওস নামে রূপান্তরিত হয়।

ওপালের ধরনঃ

ওপালকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়:

  1. প্রেশিয়াস ওপাল (মূল্যবান ওপাল) – এটি আলো পড়লে ইরিডেসেন্স বা রঙের খেলা (play-of-color) তৈরি করে, যা একে অনন্য করে তোলে।
  2. কমন ওপাল (সাধারণ ওপাল) – এতে কোনো রঙের খেলা থাকে না, এটি সাধারণত একরঙা হয়।

ওপালের পাথর বৈশিষ্ট্যঃ

  • ওপালের অভ্যন্তরীণ গঠন আলোকে বিচ্ছুরিত করে এবং এতে রঙের খেলা দেখা যায়।
  • এটি স্বচ্ছ, আধা-স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ হতে পারে।
  • ওপালের রঙ সাদা, কালো, ধূসর, সবুজসহ বিভিন্ন রঙের হতে পারে।
  • কালো ওপাল সবচেয়ে বিরল এবং মূল্যবান, যেখানে সাদা, ধূসর ও সবুজ ওপাল সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

ইতিহাসঃ

প্রাচীনকালে ওপাল ছিল খুবই বিরল এবং রাজপরিবারের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান রত্ন হিসেবে গণ্য হতো। ১৯তম শতাব্দীতে অস্ট্রেলিয়ায় বড় ওপাল খনি আবিষ্কারের আগে, এর একমাত্র পরিচিত উৎস ছিল স্লোভাকিয়ার চেরভেনিকা, যা রোমান সাম্রাজ্যের সীমানার বাইরে অবস্থিত ছিল। আজকের দিনে, অস্ট্রেলিয়াকে ওপালের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এটি দেশটির জাতীয় রত্ন।

ওপাল পাথর পরিধানের উপকারিতা ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বঃ

ওপাল পাথর একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় রত্ন, যা তার অসাধারণ সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক শক্তির জন্য পরিচিত। এটি শুধু গহনা হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, বরং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্যও ব্যবহৃত হয়। ওপালের বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার মানুষের জীবনকে সহজ, সুন্দর, এবং সাফল্যমণ্ডিত করে।

এ উপকারি পাথরটি সংগ্রহ করতে আজই অর্ডার করুন  । অর্ডার করতে (Order Now ) বাটনটি ক্লিক করুন এবং উপভোগ করুন সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন ।
  • সৌন্দর্য এবং মানসিক শান্তিঃ

ওপাল পাথর তার অদ্ভুত রঙ এবং সুনিপুণ বর্ণের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। এটি রঙের একটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় প্রক্ষেপণ দেয়, যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং শান্তি প্রদান করে। ওপালের সৌন্দর্য মানসিক শান্তি আনে এবং এটি পরিধানকারীকে মানসিকভাবে সতেজ রাখে, যা তার কর্মদক্ষতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এ কারণে এটি “Beauty of Queen” বা “সৌন্দর্যের রানী” নামে পরিচিত।

  • সান্ত্বনা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতিঃ

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ওপাল পাথর একজন মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তির মনের স্থিতিশীলতা এবং মানসিক শান্তি বৃদ্ধি করে। ওপাল ব্যবহার করলে ব্যক্তির ভাবনাগুলো সুসংগঠিত হয়, এবং তার আধ্যাত্মিক চিন্তা বৃদ্ধি পায়।

  • সৌভাগ্যঃ

ওপাল পাথর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি পরিধানকারীকে নতুন সুযোগ এবং জীবনের সাফল্য এনে দিতে সহায়তা করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, ওপাল পাথর ভাগ্য সুপ্রসন্ন করতে সাহায্য করে এবং ব্যক্তির জীবনকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

  • প্রেম এবং ভালোবাসাঃ

ওপাল পাথর প্রেম এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে শুভ বলে বিবেচিত হয়। এটি দাম্পত্য জীবন ও সম্পর্ককে মজবুত করে, এবং ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করে। এটি পরিধানকারীকে প্রেমময় এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রদান করে, যা সম্পর্ককে আরও উন্নত করে।

রাশির উপর ভিত্তি করে ওপাল পাথরের উপকারিতাঃ

প্রতিটি রাশির জন্য ওপাল পাথরের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। নিচে উল্লেখিত রাশির সাথে ওপাল পাথরের সম্পর্ক এবং উপকারিতা:

  • তুলা রাশি (Libra): ওপাল পাথর তুলা রাশির সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়ক।
  • মীন রাশি (Pisces): মীন রাশির জন্য ওপাল সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং মনঃসংযোগ উন্নত করে।
  • বৃশ্চিক রাশি (Scorpio): এই রাশির জন্য ওপাল আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
  • ধনু রাশি (Sagittarius): ধনু রাশির গবেষণা এবং অনুসন্ধানী প্রকৃতির জন্য ওপাল পাথর শুভ।
  • সিংহ রাশি (Leo): ওপাল সিংহ রাশির আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্ব গুণাবলী উন্নত করে।
  • কর্কট রাশি (Cancer): কর্কট রাশির শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্থিতি বৃদ্ধি করতে ওপাল সহায়ক।
  • মেষ রাশি (Aries): মেষ রাশির জন্য ওপাল শারীরিক এবং ব্যবসায়িক লাভের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, কোনো রত্ন পাথর ব্যবহারের আগে অভিজ্ঞ জ্যোতিষী বা রত্নবিশারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  কোন রত্ন পাথর কোন রাশির জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী তা একমাত্র কোন বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জ্যোতিষী বা রত্ন বিশারদের পক্ষেই বলা সম্ভব।তাই কোন রত্ন পাথর ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ রত্ন বিশরদের পরামর্শ নেয়া উচিত।অন্যথায় উপকারের চেয়ে অপকার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন  উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।  জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী। লিটন দেওয়ান চিশতীকে অনুসরন করেন তার ভক্তরা, তাই তাদের দোয়া ও ভালবাসাকে শক্তিতে পরিণত করে সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি।

তিনি নিজেকে এবং তার অনুসারীদেরকে আধ্যাত্মিক সাধনায় চিশতীয় তরিকার আলোয় আলোকিত করতে চান। জ্যোতিষশাস্ত্রে দক্ষ এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী। জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত লিটন দেওয়ানের পরামর্শে সুফল লাভ করছেন। ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshouse.com

আসল ওপাল পাথর চেনার উপায়ঃ

ওপাল একটি দামি রত্ন, এবং এর নকল পাথরের পরিমাণও অনেক বেশি। তাই আসল ওপাল চেনা কিছুটা কঠিন হতে পারে। তবে, কিছু সহজ পদ্ধতি আছে, যা দিয়ে আপনি আসল এবং নকল ওপাল পাথরের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

1. রঙের খেলা (Play of Color):

আসল ওপাল পাথরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তার বিভিন্ন রঙের পরিবর্তন। এই পাথরটি আলোর অবস্থান পরিবর্তন হলে ভিন্ন ভিন্ন রঙ দেখাতে থাকে। নকল ওপাল পাথরে এই ধরনের রঙের খেলা দেখা যায় না।

আসল ওপাল পাথরের ভিতর খুব সূক্ষ্ম এবং জটিল গঠন থাকে। আপনি যদি ভালোভাবে দেখে দেখেন, তাহলে এর ভিতরের গঠন বুঝতে পারবেন। এর জন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া ভালো।

2. বুদবুদ পরীক্ষাঃ

এটি খুব সহজ একটি পরীক্ষা। আসল ওপাল পাথর পানিতে রাখলে কোনও বুদবুদ উঠবে না, কিন্তু নকল ওপাল পাথর পানিতে রাখলে সেখান থেকে বুদবুদ উঠতে শুরু করবে।

3. ওপাল পাথরের যত্নঃ

ওপাল পাথর একটি মূল্যবান রত্ন, তাই এর যত্ন নিতে হবে।

4. তাপমাত্রা থেকে সাবধানঃ

ওপাল পাথর তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রতি খুব সংবেদনশীল। অতএব, পাথরটি কখনোই বেশি গরম বা ঠান্ডা জায়গায় রাখবেন না, যাতে পাথরের ক্ষতি না হয়।

5. আর্দ্রতা (নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি):

ওপাল তার ভিতরে আর্দ্রতা ধরে রাখে, তাই মাঝে মাঝে পাথরটিকে হালকা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে খুব বেশি পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখবেন না।

6. রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে রাখুনঃ

ওপাল পাথর সাবান, ক্লোরিন বা অন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে রাখুন। এগুলো পাথরের ক্ষতি করতে পারে।

7. নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুনঃ

ওপাল পরিষ্কার করার সময় নরম কাপড় ব্যবহার করুন। যদি পাথরটি খুব ময়লা হয়ে যায়, তবে হালকা সাবানপানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তবে, পরিষ্কার করার পর পাথরটি ভালোভাবে শুকিয়ে ফেলুন।

ওপাল ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ রত্নবিশারদ থেকে পরামর্শ নিন। পাথরটি যদি ভালোভাবে সংরক্ষণ করা না হয়, তবে তার গুণগত মান কমে যেতে পারে।

এই সহজ নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার ওপাল পাথরটিকে দীর্ঘদিন ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

Leave a Reply