ক্যাটস আই পাথর

ক্যাটস আই পাথর (Cat’s Eye) যাকে বাংলায় ডাকা হয় বৈদূর্য মনি। তবে এই রত্ন পাথর ক্যাটস আই পাথর নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ক্যাটস আই পাথর ক্রাইসোবেরিল (Chrysoberyl) খনিজ পরিবারের অন্তর্গত।ক্রাইসোবেরিল শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “Chryso” থেকে যার আভিধানিক অর্থ সোনা এবং Beryl শব্দের অর্থ সবুজ। ক্রাইসোবেরিলকে বৈজ্ঞানিকভাবে বেরিলিয়াম অ্যালুমিনেট নামে ডাকা হয়। মহাজগতে যে কয়েকটি অতীব উপকারী রত্ন পাথর রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যাটস আই পাথর। আজকের এই ব্লগে আমরা ক্যাটস আই পাথর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

গঠন ও বৈশিষ্ট্যঃ

 ক্যাটস আই পাথরের ধরণকে ক্রাইসোবেরিল বলা হয়। আর এই ক্রাইসোবেরিল (Chrysoberyl) এলুমিনিয়াম অক্সাইড এবং বেরিলিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। রাসায়নিক সংকেত  BeAl₂O₄।

বৈশিষ্ট্য:

ক্যাটস আই রত্ন পাথর সাধারণত সোনালি-সবুজ, হলুদ এবং বাদামী বা ধূসর রঙের হয়ে থাকে।মোহোস স্কেলে পাথরটির কঠোরতার মান ৮.৫ যা পাথরটিকে বেশ শক্ত এবং মজবুত বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। স্বচ্ছতার দিক বিবেচনায় পাথরটি স্বচ্ছ,অর্ধ স্বচ্ছ এবং অস্বচ্ছ হয়ে থাকে।

নামকরণঃ

ক্যাটস আই পাথরে যখন আলো পড়ে তখন সেই প্রতিফলিত আলো দেখতে অনেকটা বিড়ালের চোখের মতো লাগে।প্রতিফলিত আলোর এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্যএই রত্ন পাথরের নামকরণ ক্যাটস আই পাথর করা হয়েছে। প্রতিফলিত আলোর এই প্রভাবকে “চ্যাটোয়ানসি” (Chatoyancy) বলা হয়। আর এই “চ্যাটোয়ানসি” শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ “chatoyer” থেকে বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় “বিড়ালের চোখের মতো চকচক করা”

ক্যাটস আই পাথরের ইতিহাসঃ

ক্যাটস আই পাথর

ইতিহাসে লক্ষ্য করলে দেখা যায়,প্রাচীনকালে বিভিন্ন সভ্যতা এবং সংস্কৃতিতে ক্যাটস আই পাথর বিশেষ মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে ব্যবহার করা হতো।

 চলুন আপনাদের নিয়ে ক্যাটস আই পাথরের ইতিহাসের পাতা থেকে ঘুরে  আসি।

ভারত:

প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতায়  ক্যাটসই পাথরের বিশেষ স্থান ছিল। প্রাচীন ভারতীয়রা বিশ্বাস করত, ক্যাটস আই পাথরের সাথে শনি  গ্রহের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এই রত্ন পাথর শনির প্রভাব থেকে ব্যক্তিকে সুরক্ষিত রাখে,ধন-সম্পদ বৃদ্ধি এবং জীবনকে সাফল্য মন্ডিত করতে সাহায্য করে।প্রাচীন ভারতীয় রাজা-বাদশারা তাদের আভিজাতের প্রতীক হিসেবে ক্যাটস আই পাথরের গহনা ব্যবহার করত। এছাড়াও ধর্মীয় এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে ক্যাটস আই পাথর ব্যবহার করা হতো।

শ্রীলঙ্কা:

সৌন্দর্যের নীলাভূমি খ্যাত শ্রীলঙ্কাকে ক্যাটস আই পাথরের উৎপত্তিস্থল বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই ক্যাটস আই পাথর উৎপাদনের জন্য শ্রীলঙ্কার বিশেষ সুখ্যাতি ছিল।প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কার উৎপাদিত ক্যাটস আই পাথরের কদর ছিল। শ্রীলঙ্কার ধর্মীয় এবং সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে  ক্যাটস আই পাথর।

প্রাচীন মিশর:

সভ্যতা ও সংস্কৃতির দেশ মিশরে ক্যাটস আই পাথরকে জাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হতো।প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত ,ক্যাটস আই পাথরে এমন এক ধরনের অলৌকিক শক্তি রয়েছে যা তাদের সব ধরনের অপশক্তি হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সময় বিভিন্ন ধর্মীয়  রীতি-নীতিতেও ক্যাটস আই পাথর ব্যবহার করা হতো।

মধ্যযুগ:

সময়ের সাথে সাথে ক্যাটস আই পাথরের ও জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।সপ্তাদশ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীতে ক্যাটস আই পাথর পুরো পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বর্তমানে অলংকার এবং উপকারী রত্ন পাথর হিসেবে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যাটস আই পাথরের সৌন্দর্য,সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব পাথরটিকে একটি অনন্য মর্যাদা দিয়েছে।

ক্যাটস আই পাথরের উৎস ও খনিঃ

ক্যাটস আই পাথর

ক্যাটস আই পাথরের রঙের বৈচিত্রা এবং অভ্যন্তরীণ কাঠামোর কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের খনির মধ্যে বৈচিত্রতা দেখা যায়।চলুন পৃথিবীর বিখ্যাত কয়েকটি খনি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

শ্রীলঙ্কা:

রত্নাপুরা:

পৃথিবী বিখ্যাত ক্যাটস আই পাথর পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কার রত্নাপুরে। বর্তমানে অঞ্চলটি “রত্ন নগরী” নামে পরিচিত। এখানে পাওয়া ক্যাটস আই পাথর তার সোনালী সবুজ রঙের জন্য জগৎ বিখ্যাত। পৃথিবীতে পাওয়া সিংহভাগ ক্যাটস আই পাথরের উৎস শ্রীলঙ্কা।

ভারত:

কেরালা:

ঈশ্বরের আপন দেশ খ্যাত কেরালা প্রাচীনকাল থেকেই  ক্যাটস আই পাথরের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখানে বেশ কিছু  ক্যাটস আই পাথরের খনি রয়েছে। এই খনির পাথরগুলোর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো,এগুলো সাধারণত হলুদ এবং সোনালী রঙের হয়ে থাকে।

ওড়িশা:

ভারতের অন্যতম সমৃদ্ধশালী রাজ্য ওড়িশা। এ রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে ক্যাটস আই পাথরের খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই খনির পাথরগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো,এই খনিতে সবুজ থেকে হালকা বাদামি রঙের ক্যাটস আই পাথর পাওয়া যায়।

ব্রাজিল:

মিনাস জেরাইস:

পৃথিবীর অন্যতম ক্যাটস আই রপ্তানিকারক দেশের তালিকা রয়েছে ব্রাজিলের নাম। ব্রাজিলের মিনাস জেরাইস শহরে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রত্ন খনি।

এখানে সবুজ এবং সোনালী রঙের পাথর পাওয়া যায়।

মাদাগাস্কার:

ইলার্না এবং ফিয়ানারান্টসোয়া:

মাদাগাস্কারের ইলার্না এবং ফিয়ানারান্টসোয়া অঞ্চলে উজ্জল সবুজ এবং সোনালী রঙের ক্যাটস আই পাথর পাওয়া যায়।

তানজানিয়া:

মেরেলানি পাহাড়:

তানজানিয়ার মেরেলানি পাহাড়ে বিরল ধূসর রঙের ক্যাটস আই পাথর পাওয়া যায়। পাথরের এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশ্বে তানজানিয়ার পাথরের আলাদা কদর রয়েছে।

রাশিয়া:

উরাল পর্বতমালা:

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ক্যাটস আই পাথর পাওয়া যায় রাশিয়ার উড়াল পর্বতমালায়। এখানকার পাথরগুলো উজ্জ্বল সবুজ এবং বাদামী রঙের হয়ে থাকে। পাথরের গুণগতমান বিবেচনায় এই অঞ্চলের পাথরগুলো বিশ্ববাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

ক্যাটস আই পাথরের প্রকারভেদঃ

ক্যাটস আই পাথর

পাথরের অভ্যন্তরীণ গঠন,রঙ এবং আলোর প্রতিফলনের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ক্যাটস আই পাথরকে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। চলুন ক্যাটস আই পাথরের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ক্রাইসোবেরিল ক্যাটস আই (Chrysoberyl Cat’s Eye):

ক্যাটসই পাথরের শ্রেণীর মধ্যে ক্রাইসোবেরিল ক্যাটস আই সবচেয়ে  দামি এবং উৎকৃষ্ট মানের হয়ে থাকে। এই পাথরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো,এখানে প্রতিফলিত আলো দেখতে অনেকটা বিড়ালের চোখের মত লাগে।ক্রাইসোবেরিল ক্যাটস আই সাধারণত তিনটি রঙে পাওয়া যায়।সবুজ,হলুদ এবং সোনালী।

জ্যোতিষশাস্ত্রে ক্রাইসোবেরিল ক্যাটস আই সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এই পাথর শনি গ্রহের সঙ্গে নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত এবং ব্যক্তি জীবনে সমৃদ্ধি ও সুরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক্রিসোপ্রেজ ক্যাটস আই (Chrysoprase Cat’s Eye):

ক্রিসোপ্রেজ ক্যাটস আই সৌন্দর্য ,ধৈর্য এবং মানসিক শান্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই রত্ন পাথর সাধারণত সবুজ রঙের হয়ে থাকে।

অ্যাপাটাইট ক্যাটস আই (Apatite Cat’s Eye):

অ্যাপাটাইট ক্যাটস আই দুর্লভ শ্রেণীর একটি রত্ন পাথর। এই শ্রেণীর রত্ন সাধারনত সবুজ হলুদ এবং নীল রঙের হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিক উন্নতি এবংঅন্তর্দৃষ্টি প্রসারিত করতে জ্যোতিষীগণ এই পাথর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

একোমারাইন ক্যাটস আই (Aquamarine Cat’s Eye):

আত্মশক্তি বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা প্রসারের জন্য একোমারাইন ক্যাটস আই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এই রত্ন পাথর উজ্জল গাঢ় নীল রঙের হয়ে থাকে।

ট্যুরমালিন ক্যাটস আই (Tourmaline Cat’s Eye):

ট্যুরমালিন ক্যাটস আই আত্মশুদ্ধি  এবং মানসিক স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহৃত হয়। ট্যুরমালিন ক্যাটস আই মোট চারটি রঙে পাওয়া যায়। লাল,সবুজ,গোলাপি এবং বাদামী।এই রত্ন পাথর দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক হয়ে থাকে।

কোয়ার্টজ ক্যাটস আই (Quartz Cat’s Eye):

সুরক্ষা এবং সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে কোয়ার্টজ ক্যাটস আই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোয়ার্টজ ক্যাটস আই ধূসর,বাদামী,হলুদ এবং সবুজ রঙের হয় থাকে।

আকিক ক্যাটস আই (Agate Cat’s Eye):

মানসিক ভারসাম্যের রক্ষাকবচ হিসেবে আকিক ক্যাটস আই পরিচিত।এই রত্ন পাথর ব্যবহারে মানসিক স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য বজায় থাকে। আকিক ক্যাটস আই ধূসর বাদামি এবং সবুজ রঙের হয়।

টোপাজ ক্যাটস আই (Topaz Cat’s Eye):

ক্যাটস আই পাথরের প্রকারভেদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ,উপকারী এবং সুন্দর শ্রেণীর  রত্ন পাথর হলো টোপাজ ক্যাটস আই। জ্যোতিষ শাস্ত্রে , টোপাজ ক্যাটস আই পাথরকে আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ক্যাটস আই পাথরের উপকারিতা (Benefits of Cat’s Eye Stone)ঃক্যাটস আই পাথর

ক্যাটস আই একটি উপকারী রত্ন পাথর। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই পাথরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।চলুন জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে ক্যাটস আই পাথরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

যারা ব্যক্তিগত জীবনে মামলা সংক্রান্ত ঝামেলায় রয়েছেন তাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর বিশেষভাবে উপকারী। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে,এই পাথর মামলা-মোকদ্দমায় বিজয়ী হতে সাহায্য করে।
নেতিবাচক শক্তির হাত থেকে বাঁচতে জ্যোতিষ গণ ক্যাটস আই পাথর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অশুভ প্রেতাত্মা কিংবা কোন অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে ক্যাটস আই রত্ন পাথর ব্যবহার করতে পারেন।

যারা দাম্পত্য জীবনে  শারীরিক সমস্যায় ভুগতেছেন তাদের জন্য  মুক্তির পথ হতে পারে  চাই ক্যাটস আই পাথর। ক্যাটস আই পাথরের ভস্ম ঘি-এর সাথে মিশিয়ে খেলে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।বীর্য গাঢ় হয়।তবে হ্যাঁ ,এই কাজ করার পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী কিংবা রত্ন বিশারদের পরামর্শ নিতে হবে।

আমরা সকলেই জানি যে,কেতুর অশুভ শক্তির প্রভাব ব্যক্তি জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে ক্যাটস আই পাথর সাহায্য করে।

বোধগম্যতা , সৃজনশীলতা , স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ক্যাটস আই পাথর সাহায্য করে।এটি ব্যক্তি অভিজ্ঞতা ,সৃজনশীলতা এবং স্মৃতিশক্তির মাঝে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করে।

ক্যাটস আই পাথর ব্যবহারে অশান্ত মন শান্ত হয়। মনে অনাবিল প্রশান্তি অনুভূত হয়। এবং ব্যক্তি জীবনকে কর্মক্ষম করে তুলে।
যারা ব্যক্তি জীবনে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন ,তাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর ব্যবহার করা বিশেষভাবে উপকারী। পাশাপাশি এই পাথর ব্যবহারে ইতিবাচক চিন্তাধারার প্রসর ঘটে। ক্যাটস আই পাথর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আপনারা শরণাপন্ন হতে পারেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী,বাংলাদেশের জ্যোতিষ শাস্ত্রের পথপ্রদর্শক জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।  লিটন দেওয়ান চিশতী ,উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফের ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হয়েছেন। জ্যোতিষরাজ সময় পেলেই মাজার জিয়ারত করতে চলে যান। দেশে সব মাজার জিয়ারত করছেন। দেশের বাইরেও অনেক মাজার তিনি জিয়ারত করেছেন। ওমরাহ পালন করেছেন তিনি। তিনি আজমীর শরীফ গিয়েছেন অনেকবার। তিনি ভক্তদের তিনি সুফি সাধকের বয়ান, গুন, পণ্ডিত ও দর্শন নিয়ে কথা বলেন সবসময়। ব্যক্তি জীবনের সকল অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সনামধন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের দর্শনে আসুন।


যাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর ব্যবহার করা উত্তমঃ


সাধারণত যেসব জাতক-জাতিকাদের কেতু সংক্রান্ত দোষ আছে জ্যোতিষীগণ তাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে রাশি ভেদে বৃশ্চিক,মেষ, কুম্ভ এবং ধনু রাশির জন্য ক্যাটস আই পাথর ব্যবহার করা উত্তম।চলুন তবে এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।

বৃশ্চিক (Scorpio):

এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর সকল ধরনের অপশক্তি এবং কেতু গ্রহের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে।পাশাপাশি এই রত্ন পাথ  ব্যবহারে মানসিক স্থিতিশীলতা এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

মেষ (Aries):
মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য ক্যাটস আই পাথর সৃজনশীলতা এবং মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

কুম্ভ (Aquarius):
কেতু গ্রহের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে কুম্ভ রাশির জন্য  ক্যাটস আই পাথর  বেশ উপকারী।

ধনু (Sagittarius):

ব্যক্তি জীবনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এবং সমৃদ্ধি আনতে ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য ক্যাটস এই পাথর ব্যবহার করা উত্তম।

তবে রত্ন পাথর ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী কিংবা রত্ন বিশারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।অন্যথায় হিতে-বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আসল পাথর চেনার উপায়ঃ

ক্যাটস আই পাথর

অভিজ্ঞ কোন জ্যোতিষীর চোখ ছাড়া  আসল পাথরের চেনা খুবই কঠিন।তবুও সাধারণ কিছু টেকনিক অনুসরণ করে  আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন।

আসল ক্যাটস আই পাথরের রঙ প্রাকৃতিক এবং উজ্জ্বল হয়। অন্যদিকে নকল পাথর অনুজ্জ্বল এবং অস্বাভাবিক রঙের হয় থেকে।আপনি খুবই সুনিপুণভাবে রঙের এই বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করলে আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।

মোহস স্কেলে ক্যাটস আই পাথরের কঠোর মান ৮.৫ । এটি বেশ শক্ত-পোক্ত একটি রত্ন পাথর। তাই খুব সহজেই ক্যাটস আই পাথর দিয়ে অন্য কিছুর উপর স্ক্রাচ করা যায়। পাথরের এই অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েও আপনি আসল-নকলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবেন।

আর নকল পাথরের তুলনায় আসল পাথর  ভারী হয়ে থাকে।

আরেকটি মজার বিষয় হলো,আসল ক্যাটস আই পাথর ঘষলে এর উজ্জ্বলতা এবং জ্যোতি  বাড়তেই থাকে।অন্যদিকে নকলের ক্ষেত্রে তা ঘটনা না।

 তবে আমাদের ব্যক্তিগত পরামর্শ থাকবে,আপনার পছন্দের এবং কাঙ্খিত রত্ন  পাথরটি অবশ্যই  বিশ্বস্ত কোন  মাধ্যম থেকে কিনুন।এতে করে আপনি ধোঁকা এবং প্রচারিত হবেন না। এক্ষেত্রে আপনাদের সাহায্যে আছে শেষ দর্শন আজমেরী জেমস হাউজ ।প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৩০ বছর যাবত সততা এবং নিষ্ঠার সাথে মানব সেবা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তত্ত্বাবধানে আছেন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জোতিষী লিটন দেওয়ান চিশতী মানব সেবায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন।মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে দেশে এবং দেশের বাইরে কুড়িয়েছেন খ্যাতি, সুনাম ও প্রশংসা। তাই আপনি কোন ধরনের দুঃশ্চিন্তা ছাড়াই আজমেরী জেমস হাউজ থেকে আপনার পছন্দের রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে পারেন।

ঠিকানাঃলেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪ ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com এছাড়াও আপনি আজমেরী জেমস হাউজের ওয়েবসাইটে অর্ডার করেও  আপনার পছন্দের রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে পারেন।এবং অনলাইনে ঘরে বসে ক্যাটস আই পাথর অর্ডার করতে  ভিজিট করুন Original Cats Eye Stone Price 

Leave a Reply