নীল নীলকান্তমণি পাথর
পৃথিবীতে যে কয়েকটি বিস্ময়কর রত্ন পাথর রয়েছে তার মধ্যে নীলকান্তমণি অন্যতম।এই রত্ন পাথরকে The blue gem of the heavens বা স্বর্গের নীল পাথর নামেও ডাকা হয়। আবার অনেকে এই রত্ন পাথরকে The gem of wisdom and royalty বা প্রজ্ঞা এবং রাজকীয়তার প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করে থাকে। আপনাদের নিয়ে আজ আমরা যাব নীলকান্তমণি পাথরের এক বিস্ময়কার জগতে। এই পাথর সম্পর্কে আপনি যত জানবেন তত বেশি অবাক হবেন। চলুন তবে আপনাদের নিয়ে ঘুরে আসি এই বিস্ময়কর রত্ন পাথরের এক অদ্ভুত দুনিয়া থেকে। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক নীলকান্তমণি পাথর কি?
এই মূল্যবান রত্ন পাথরকে অনেক সময় নীলা নামেও ডাকা হয়। নীলা বা (sapphire) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “সাপফাইরোস” থেকে যার আভিধানিক অর্থ “নীল পাথর“। তবে এই পাথর বিশ্ব জুড়ে নীলকান্ত বা (সফায়ার) নামে সর্বাধিক পরিচিত।এটি মূলত এক ধরনের করান্ডাম খনিজ ধাতু।
নীলকান্তমণির রাসায়নিক গঠন
নীলকান্তমণির প্রধান উপাদান হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al₂O₃)। নীলকান্তমণির রং নীল হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে লোহা (Fe) এবং টাইটানিয়াম (Ti) এর অমিশ্রণ । মূল ঘটনাটি হচ্ছে লোহা এবং টাইটানিয়ামের স্বয়ংক্রিয় উপস্থিতিতে নীলকান্তমণি সূর্যের আলো শোষণ এবং বিকিরণ ঘটায়।যা এই রত্ন পাথরের নীল রং হওয়ার অন্যতম কারণ । সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে এই পাথরের মোহ্স কঠোরতার মান। মোহ্স স্কেলে এর কঠোরতার মান ৯ । যা একমাত্র হীরার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। তাই নীলকান্তমণিকে পৃথিবীর দ্বিতীয় (প্রথম হীরা ) সবচেয়ে শক্তিশালী রত্ন পাথর হিসেবে ধরা হয়। এর ঘনত্ব সাধারণত ৩.৯৫ – ৪.০৩ g/cm³ পর্যন্ত হতে পারে।
ইতিহাস
নীলকান্তমণির এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে । বিভিন্ন সভ্যতা এবং সময়কালে এ রত্ন পাথর দখল করে ছিল এক মর্যাদার স্থান। ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে নীলকান্তমণির এক গভীর যোগসূত্র রয়েছে। বিভিন্ন যুগেও সভ্যতায় নীলকান্তমণিকে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রূপে।চলুন জেনে নেই নীলকান্তমণির এক অজানায় ইতিহাস।
ভারতঃ প্রাচীন ভারতবর্ষে নীলকান্তমণিকে একদিকে যেমন ব্যবহার করা হতো মূল্যবান রত্ন পাথর হিসেবে অন্যদিকে এটিকে ব্যবহার করা হতো পবিত্র পাথর হিসেবে। তাই ভারতবর্ষের ইতিহাসের সঙ্গে নীলকান্তমণির বিভিন্ন পৌরাণিক কল্প-কাহিনী, ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক আচার-আচরণ এবং ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে ।
প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য এবং পুরানে নীলকান্তমণির ব্যবহারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ভারতীয়রা এই রত্ন পাথরকে আধ্যাত্মিক শক্তির আধার এবং নিরাময় ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বাস করত। অথর্ববেদ অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে ,নীলকান্তমণি পরিধানকারী ব্যক্তি ঈশ্বরের আশীর্বাদ পুষ্ট এবং এ রত্ন পাথর তাদের সকল ধরনের বিপদ এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা করে।
ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যের একজন বিখ্যাত জ্যোতিষী বরাহ মিহির নীলকান্তমণির ব্যবহারের নিয়মাবলী এবং গুণাবলীর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
প্রাচীন ভারতবর্ষের তৎকালীন রাজা এবং মহারাজারা নীলকান্তমণিকে ব্যবহার করতেন অলংকার রূপে।এটি তারা ব্যবহার করতেন তাদের রাজকীয় পোশাক এবং মুকুটে।ইতিহাস থেকে জানা যায় নীলকান্তমণিকে অনেক রাজ্যের রাজার বংশগত ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।এটি তাদের ঐশ্বর্য এবং ক্ষমতার নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত হতো। তবে,ভারতবর্ষের ইতিহাসে নীলকান্তমণির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় মুঘল আমলে। মুঘল সুলতানদের অলংকার হিসেবে রত্নপাথরের তালিকায় সবার উপরে থাকতো নীলকান্তমণি। সম্রাট আকবর এবং শাহজাহানের ব্যবহৃত রত্ন পাথরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল নীলকান্তমণি। মুঘলরা নীলকান্তমণিকে রাজকীয় পোশাক এবং অস্ত্রের অলংকার হিসেবে ব্যবহার করত।
ভারতীয় আধ্যাত্মিক এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য নাম নীলকান্তমণি। জ্যোতিষ শাস্ত্রে নীলকান্তমণিকে সৌভাগ্য সুরক্ষা সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা বিশ্বাস করত এ রত্ন পাথর তাদের জন্য মঙ্গলজনক এবং অপশক্তির হাত থেকে তাদের রক্ষা করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে শনিরদশা কাটাতে নীলকান্তমণিকে উপযুক্ত রত্ন পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।বিশ্বাস করা হয় যে এটি শনির অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি আনে। অনেকে মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক কারণে ও নীলকান্তমণি ব্যবহার করত। নীলকান্তমণি ব্যবহারে মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় ।
ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি জায়গায় নীলকান্তমণির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ কাশ্মীর এবং ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গোলকোন্ডা নীলকান্তমণি। কাশ্মীরি নীলকান্তমণি তার উজ্জ্বল নীল রঙের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলকান্তমণির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ভারতে । যা ইতিহাসে “Hope Diamond” নামে পরিচিত।এর ওজন ছিল প্রায় প্রায় ৪৫.৫২ ক্যারেট।হোপ ডায়মন্ড নিয়ে একটি মজার এবং সেই সাথে ভয়ঙ্কর একটি ইতিহাস রয়েছে । এই রত্ন পাথর যার কাছেই থাকতো সে কোন না কোন ভাবে ধ্বংস হয়ে যেত । তাই এই পাথর বেশিদিন একক মালিকানায় কখনো ছিল না। তুমি চাইলে গুগল থেকে হোপ ডায়মন্ডের ভয়ংকর ইতিহাস জেনে নিতে পারেন।
গ্রিস
প্রাচীন গ্রিসে নীলকান্তমণি ব্যবহৃত হতো তিনটি দিক বিবেচনায়।চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পৌরাণিক কাহিনী: গ্রিসকে বলা হয় পৌরাণিক গল্প কাহিনীর আধার। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীতে নীলকান্তমণিকে তাদের দেবতার অন্যতম পবিত্র পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হতো।তৎকালীন গ্রিক বাসিরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো এই পাথর পৃথিবীতে তাদের জন্য দেবতার আশীর্বাদ নিয়ে আসে।তারা বিশ্বাস করত এর মধ্যে রয়েছে আকাশের শুদ্ধতা এবং পবিত্রতা ।যা তাদের জন্য মঙ্গলজনক।তাই গ্রীকরা নীলকান্তমণিকে খুবই শ্রদ্ধার সহিত ব্যবহার করতো।
ধর্মীয় ব্যবহার: তৎকালীন গ্রিসে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ,সামাজিক অনুষ্ঠান এবং পূজার সময় নীলকান্তমণি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তারা দেবতার মূর্তি এবং মন্দিরের অলংকার হিসেবে নীলকান্তমণি ব্যবহার করত।
প্রজ্ঞার প্রতীক: প্রাচীন গ্রিসে নীলকান্তমণিকে প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তারা বিশ্বাস করত নীলকান্তমণি তাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি মানসিক শক্তি বৃদ্ধি এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
রোমঃ গ্রিকদের মতো রোমানরাও মূলত তিনটি কারণে নীলকান্তমণি ব্যবহার করত। তবে তাদের ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল গ্রিকদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রোমানরা কোন তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নীলকান্তমণি ব্যবহার করত।
অলংকারঃ রোমানরা নীলকান্তমণিকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করত অলংকার হিসেবে।রোমানরা নীলকান্তমণির তৈরি গহনা, যেমন আংটি, ব্রেসলেট এবং নেকলেস ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন । নীলকান্তমণি তৎকালীন সমাজে বংশ মর্যাদা এবং সামাজিক অবস্থানের প্রতীক হিসেবে উচু স্তরের মানুষের সঙ্গে নিচু স্তরের মানুষের তফাৎ নির্দেশ করত।
সম্রাটদের ব্যবহার: তৎকালীন বিভিন্ন রোমান সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা নীলকান্তমণি ব্যবহার করতেন তাদের ক্ষমতা এবং আভিজাত্যের নিদর্শন স্বরূপ । ইতিহাস থেকে জানা যায় শক্তিশালী রোমান সম্রাট নিরো নীলকান্তমণির তৈরি আংটি ব্যবহার করত।যা সম্রাটের ক্ষমতা এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো।
তাবিজ হিসেবে ব্যবহার: সেই সময়ে রোমানদের মাঝে তাবিজ হিসেবে ও নীলকান্তমণির ব্যবহার ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।রোমানদের মাঝে বিশ্বাস ছিল , এই রত্ন পাথর তাদের বিভিন্ন অপশক্তি এবং প্রেতাত্মা থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই তৎকালীন সময়ে তাবিজ হিসেবে নীলকান্তমণির ব্যবহারের প্রবণতা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। রোমানরা যখন কোন যুদ্ধে যেত বা কোন অভিযানে বের হতো তখন তাদের দেহের সুরক্ষার জন্য নীলকান্তমণি ব্যবহার করত।
আসল নীলকান্তমণি চেনার উপায়
পৃথিবীতে যে জিনিসের কদর সবচেয়ে বেশি,সেই জিনিসের নকল থাকার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি।নীলকান্তমণি একটি মূল্যবান রত্ন পাথর হওয়ায়, এর চাহিদাও পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক। তাই বাজারে এর নকলের সংখ্যাও অনেক। সাধারণত কোন রত্ন পাথর কেনার আগে কোন পরীক্ষিত মাধ্যম কিংবা রত্ন বিশারদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আজকে আমরা আপনাকে আসল নীলকান্তমণি চেনার পাঁচটি টেকনিক জানাবো।
১। রঙঃ নীলকান্তমণি সাধারণত গভীর নীল রঙের হয়ে থাকে। তাই কেনার সময় অবশ্যই এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন যেন নীলকান্তমণির গভীর নীল হয় হয়।
২।আলো এবং প্রতিফলনঃ আমরা সকলেই জানি যে , আসল নীলকান্তমণি সূর্যালোককে বিশেষভাবে প্রতিফলিত করে যা একটি নীল আভা তৈরি করে। নীলকান্তমণি কেনার সময় এই বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য রাখবেন।
৩।কঠোরতাঃ আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে,নীলকান্তমণির কঠোরতা মোহ্স স্কেলে ৯। তাই আপনিও নীলকান্তমণি কেনার সময় এই বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন
৪. তাপঃ আসল নীলকান্তমণি উচ্চ তাপে কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।একে যতই তাপ প্রয়োগ করা হোক না কেন, এর আকার কিংবা রঙের কোন পরিবর্তন ঘটে না। তাই আপনি যখন নীলকান্তমণি কিনবেন তখন এটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।
৫।প্রাকৃতিক অমিশ্রণঃ আসল নীলকান্তমণিতে প্রাকৃতিক অমিশ্রণ বা ইনক্লুশন থাকে যা মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখা যায়। অপরপক্ষের নকল নীলকান্তমণিতে কোন ধরনের অমিশ্রণ বা ইনক্লুশন থাকে না । দেখতে স্বচ্ছ হয়।
এই পাঁচটি পরীক্ষনের মাধ্যমে আপনি আসল নীলকান্তমণি চিহ্নিত করতে পারেন। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো বিশ্বস্ত কোন মাধ্যম থেকে রত্ন পাথর ক্রয় করা। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আজমেরী জেমস হাউজ। তারা বিগত কয়েক দশক ধরে বিশ্বস্ততার সাথে রত্ন পাথর সরবরাহ করে আসতেছেন। তাই কোন ধরনের দ্বিধা এবং সংশয় ছাড়াই আজমেরী জেমস হাউজ থেকে আপনার কাঙ্খিত নীলকান্তমণিটি সংগ্রহ করতে পারেন।
ঠিকানঃলেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com
আপনি চাইলে এখন আরো সহজে ঘরে বসে ORDER NOW 👈
এই ঠিকানায় অর্ডার দিয়ে আসল নীলকান্তমণি সংগ্রহ করতে পারেন।
নীলকান্তমণির উপকারিতা
নীলকান্তমণি একটি বহুগুণ সমৃদ্ধ মূল্যবান রত্ন পাথর । এর বাহ্যিক সৌন্দর্য যেমন যেকোনো কাউকে মুগ্ধ করাতে পারে তেমনি এর অভ্যন্তরীণ শক্তি মানসিক, আধ্যাত্মিক, শারীরিকভাবে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা প্রদান করে থাকে ।
শারীরিক উপকারিতাঃ প্রাচীন যুগে নীলকান্তমণিকে চোখের সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহার করা হতো। নীলকান্তমণিকে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং চোখের ক্লান্তি ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হতো।এটি ব্যবহারে মানুষের দৃষ্টিশক্তির পূর্বের তুলনায় অনেকটা বেড়ে যেত।
অনেকে ত্বকের সমস্যা দূর করতেও নীলকান্তমণি ব্যবহার করত ।ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন ফুসকুড়ি এবং অ্যালার্জি নিরাময়ে এই রত্ন পাথর বিশেষ ভূমিকা রাখত।ত্বককে শীতল রাখতেও নীলকান্তমণি ব্যবহৃত হতো।
নীলকান্তমণি ব্যবহারকারীরা অন্যদের চেয়ে শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে থাকে।এর অভ্যন্তরীণ শক্তি মানুষের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়।
মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উপকারিতাঃ নীলকান্তমণির একটি অদ্ভুত গুণ হলো এটি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং অস্থিরতা কমাতে পারে । এটি দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে ব্যক্তিকে মানসিক স্থিতিশীলতা অস্থিরতা থেকে দূরে রাখে যা জীবনকে সহজ করে তোলে। গভীর ধ্যান এবং যোগাসনেও নীলকান্তমণি আপনাকে সাহায্য করবে । এটি মনোযোগ এবং কনসেন্ট্রেশন বৃদ্ধি করে ব্যক্তিকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে শক্তিশালী করে।
পাশাপাশি এই রত্ন পাথর আধ্যাত্মিক উন্নতিতে ও ভূমিকা রাখে । এটি আত্মা এবং মনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।ফলশ্রুতিতে যে কোন কাজ নির্ভুলভাবে করা যায় এবং কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসে।
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় উপকারিতাঃ এই রত্ন পাথর শনির অশুভ ভয়াল প্রভাব থেকে রক্ষা করে ব্যক্তি জীবনকে সাফল্যমন্ডিত এবং সমৃদ্ধিতে ভরে তোলে। তাইতো এই পাথরকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ,জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে নীলকান্তমণিতে এক ধরনের অলৌকিক শক্তি আছে যা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে ।সেই সাথে এটি শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।যা বিশেষভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রেম এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপকারিতাঃ নীলকান্তমণিকে বিশ্বাসের প্রতীক হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। এটি প্রেম সহ বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে গভীরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই বিবাহসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নীলকান্তমণি উপহার দেওয়ার প্রচলন ছিল।যার সম্পর্কের ভিত্তিকে আরও মজবুত করত।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে নীলকান্তমণি দাম্পত্য জীবনকে সুখের এবং সম্পর্ককে মধুর করে তুলতে সাহায্য করে। এই রত্ন পাথর এটি দম্পতিদের মধ্যে ভালোবাসা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি করে ।
পেশাগত এবং অর্থনৈতিক উপকারিতাঃ এই পাথরের অভ্যন্তরীণ শক্তি সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানুষকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। জ্যোতিষ বিশারদদের মতে এই রত্ন পাথর বিশেষ করে শিল্পী এবং বিভিন্ন সৃজনশীল পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।
যে রাশির জন্য নীলকান্তমণির ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী
নীলকান্তমণিকে সাধারণত শনির রত্ন পাথর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আপাত দৃষ্টিতে মকর (Capricorn) এবং কুম্ভ (Aquarius) রাশির জন্য নীলকান্ত মণিকে বিশেষভাবে কার্যকরী মনে করা হয় । এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাশির জন্য এই পাথর কার্যকরী ভূমিকা রাখে চলুন এই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানা যাক।
মকর রাশি (Capricorn)
শাসক গ্রহ: শনি
উপকারিতা: নীলকান্তমণিকে সবচেয়ে বেশি মকর রাশিদের জন্য শুভ মনে করা হয়। এটি বিভিন্নভাবে শনির প্রভাবকে প্রতিহত করে জীবনকে সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে তুলে। মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য নীলকান্তমণি সবচেয়ে শুভ এবং কল্যাণকর।
কুম্ভ রাশি (Aquarius)
শাসক গ্রহ: শনি এবং ইউরেনাস
উপকারিতা: মকর রাশির পাশাপাশি কুম্ভ রাশির জন্যও নীলকান্তমণি বিশেষভাবে উপকারী একটি পাথর। এই রত্ন পাথর কুম্ভ রাশির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে ।তাছাড়া এই রত্ন পাথর কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবেও সুস্থ রাখে ।
এখন আপনাদের কয়েকটি কথা বলব যা অত্যন্ত মূল্যবান । প্রথমত কোন রাশির জন্য কোন রত্ন পাথর গুরুত্বপূর্ণ যা একমাত্র কোন রত্ন বিশারদ বা অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পক্ষেই বলা সম্ভব । তাই আপনার রাশি অনুযায়ী আপনার গ্রহণ নক্ষত্র বিবেচনায় আপনার জন্য কোন রত্ন পাথর শুভ এবং কোন রত্ন পাথর আপনার জন্য অশুভ,অকল্যাণকর তা একমাত্র কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পক্ষে বলা সম্ভব। তাই আমাদের ব্যক্তিগত পরামর্শ থাকবে কোন রত্ন পাথর ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই কোন রত্ন বিশারদ এবং জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হবেন। এক্ষেত্রে আপনি দেশ সেরা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং পুরস্কৃত জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতীর সাহায্য নিতে পারেন। জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান ৩০ বছর যাবৎ চিশতীয় জ্ঞানের অনুশীলন করে সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রা, হৃদয়পথ, শিরোনাম এবং ভাগ্য রেখা নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের বাহিরে খুব অল্প সময়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন নিজের দক্ষতা ও জ্যোতিষ জ্ঞান দিয়ে পেয়েছেন গুণীজন সংবর্ধনা এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম থেকে দেওয়া সম্মাননা সনদপত্র। রত্নপাথরের সুফল জানতে মহাজ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের সাথে পরামর্শ করুন।
ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com
মঙ্গলবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ।
সর্বোপরি একটা কথাই বলব,আসল রত্ন পাথর ব্যবহার করুন।রত্ন পাথরের সুফল ভোগ করুন।
ভালো থাকুন।