You are currently viewing পান্না (Emerald): উপকারিতা, আসল চেনার উপায় ও রাশিচক্র প্রভাব

পান্না (Emerald): উপকারিতা, আসল চেনার উপায় ও রাশিচক্র প্রভাব

পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান চারটি রত্নপাথরের মধ্যে পান্না অন্যতম। পান্নাকে ইংরেজিতে “Emerald” এবং স্থানীয়ভাবে “জমরুদ” নামে পরিচিত। এটি বেরিল খনিজ পরিবারের একটি মূল্যবান রত্ন পাথর। পান্নার বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী রয়েছে, যেমন জাম্বিয়ান পান্না, কলম্বিয়ান পান্না, এবং ব্রাজিলিয়ান পান্না। যদিও কিছু ক্ষেত্রে সবুজ স্যাফায়ারকেও পান্নার মতো বলা হয়, তবে এটি আলাদা রত্ন।

গঠনঃ

পান্না, যা “Emerald” নামেও পরিচিত, একটি অত্যন্ত মূল্যবান রত্ন পাথর যা পৃথিবীর গভীরে তাপ ও চাপের মাধ্যমে তৈরি হয়। এর গঠনের জন্য বেরিলিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন এবং জলসহ বিভিন্ন উপাদান প্রয়োজন। এই পাথরটি সাধারণত কলম্বিয়া, জাম্বিয়া, ব্রাজিল, এবং মাদাগাস্কারসহ বিভিন্ন দেশে খনন করা হয়।

পান্না খনির থেকে উত্তোলন করার পর, এটি বিশেষভাবে কাটানো ও পালিশ করা হয়। পান্না অত্যন্ত ভঙ্গুর হওয়ায়, কাটার ও পালিশের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পান্না গ্রেড করা হয় রঙ, স্বচ্ছতা এবং আকারের উপর ভিত্তি করে, যেখানে AAA গ্রেড পান্না সবচেয়ে ভালো মানের।

রাসায়নিকভাবে, পান্নার ফর্মুলা Be₃Al₂(SiO₃)₆, এবং এতে ক্রোমিয়াম বা ভ্যানাডিয়াম উপস্থিত থাকে। পান্নার কঠোরতা ৭.৫ থেকে ৮, যা এটিকে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। 

পান্নার ইতিহাসঃ

পান্নার ইতিহাস অনেক প্রাচীন এবং মানব সভ্যতার প্রতিটি যুগে এটি ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন রূপে।

পান্নার ইতিহাস

প্রাচীন মিশর:

প্রাচীন মিশরের বিখ্যাত রানী ক্লিওপেট্রা পান্নাকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার গহনায় পান্নার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক, এবং মিশরই ছিল পান্নার প্রধান খনি। রানী ক্লিওপেট্রা পান্নার সৌন্দর্য এবং আভিজাত্যের প্রতি আগ্রহী ছিলেন, যা মিশরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির গয়নাতেও দেখা যায়।

প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতা:

গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় পান্নাকে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার প্রতীক হিসেবে দেখা হত। তারা বিশ্বাস করত যে পান্না তাদের মেধা ও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তারা পান্নাকে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহার করত।

মধ্যযুগ:

মধ্যযুগে পান্না মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজে ব্যবহৃত হত। রাজা ও রানীর মুকুটে পান্নার উপস্থিতি ছিল বিশেষ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপকরণেও এর ব্যবহার ছিল।

আধুনিক যুগ (২১ শতক):

আজকের দিনে, পান্না মূলত মূল্যবান অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৩০ সাল থেকে ল্যাবরেটরিতে তৈরি পান্না বাজারে পাওয়া যায়।

পান্নার মূল্যায়ন হয় চারটি মৌলিক উপাদান দ্বারা, যেগুলো হলো: রঙ, স্বচ্ছতা, কাটা এবং ক্যারেট ওজন। পান্নার জন্য রঙ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তবে স্বচ্ছতাও দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। উচ্চ মানের পান্না বিশুদ্ধ সবুজ রঙের এবং ভাল স্বচ্ছতার অধিকারী হয়।

এছাড়া, ১৯৬০ সালে আমেরিকান জুয়েলারি শিল্প ভ্যানাডিয়াম-বহনকারী বেরিলকে পান্নার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যদিও এটি ইউরোপে পান্না হিসেবে পরিচিত নয়।

ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে:

পান্না প্রথম খনন করা হয় ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মিশরে, তবে প্রথম পান্নাগুলি ২.৯৭ বিলিয়ন বছর পুরনো বলে মনে করা হয়। ক্লিওপেট্রা পান্নার গুরুত্ব বোঝাতে মিশরের সব পান্না খনি দখল করেছিলেন, যা তার শাসনামলের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরো শক্তিশালী করে।

পান্নার প্রকারভেদঃ

পান্না (Emerald) হলো এক ধরনের দামী রত্ন, যা তার সুন্দর সবুজ রঙের জন্য বিখ্যাত। পান্নার উৎসভেদে এর মান, রঙ, আর দাম ভিন্ন হয়ে থাকে।

ব্রাজিলিয়ান পান্না:

  • রঙ: একটু হালকা সবুজ, কখনো নীলচে আভাও থাকতে পারে।
  • বৈশিষ্ট্য: এর স্বচ্ছতা বেশ ভালো, দেখতে মসৃণ আর সুন্দর।
  • বিশেষত্ব: ব্রাজিলের পান্না ভালো মানের হলেও তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যায়।

 কলম্বিয়ান পান্না:

  • রঙ: গাঢ় আর উজ্জ্বল সবুজ।
  • বৈশিষ্ট্য: পৃথিবীর সেরা মানের পান্না হিসেবে পরিচিত, খুবই স্বচ্ছ।
  • বিশেষত্ব: কলম্বিয়ার পান্না অনেক দামি এবং রাজকীয় গহনার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

জাম্বিয়ান পান্না:

  • রঙ: গাঢ় সবুজ, মাঝে মাঝে নীলচে আভা দেখা যায়।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি মজবুত, তবে স্বচ্ছতা কিছুটা কম।
  • বিশেষত্ব: জাম্বিয়ার পান্না দেখতে ভারি আর শক্তপোক্ত হওয়ায় অনেকেই এটি পছন্দ করেন।

সাধারণ পান্না:

  • পান্না হলো “বেরিল” নামক খনিজের একটি প্রকার, যা তার সবুজ রঙ পায় ক্রোমিয়াম আর ভ্যানাডিয়ামের কারণে।
  • পান্নাকে সৌভাগ্য আর প্রজ্ঞার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
  • এটি প্রেম, শান্তি, আর আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।

কলম্বিয়ান এবং ব্রাজিলিয়ান পান্না উভয়ই তাদের নিজ নিজ গুণে অনন্য এবং রত্নপ্রেমীদের কাছে অমূল্য। কলম্বিয়ান পান্না রাজকীয় এবং দুর্লভ, যেখানে ব্রাজিলিয়ান পান্না সাশ্রয়ী ও চমৎকার মানের রত্ন।

পান্নার গুণাবলি ও উপকারিতাঃ

পান্নার উপকারিতা

আপনি চাইলে অতি সহজে ORDER NOW এ বাটনে ক্লিক করে  আপনার মূল্যবান রত্ন পাথরটি অর্ডার করতে পারেন। এছাড়াও নিচে দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করেও অর্ডার করতে পারেন।

সৌন্দর্য ও বিলাসিতা:

  • পান্না তার শোভাময় সবুজ রঙের কারণে অত্যন্ত বিলাসবহুল এবং বিশেষ। এটি সোনা বা রৌপ্যের গহনায় খুব মানানসই, যা গহনার সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে।
  • ইসলামী সংস্কৃতি:
    • কুরআনে পান্নাকে জান্নাতের সৌন্দর্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা এর মূল্য ও গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
  • আধুনিক সময়ে অর্থ ও বৃদ্ধি:
    • পান্নাকে আজকাল প্রজ্ঞা, বৃদ্ধি, সম্প্রীতি এবং ভারসাম্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এটি মে মাসের জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
  • নিরাময় ও আধ্যাত্মিক উপকারিতা:
    • ব্যবসায় সাফল্য: পান্না ধারণ করলে ব্যবসায় দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
    • মনোযোগ বৃদ্ধি: এটি মনোযোগকে বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে কাজের গুণগত মান উন্নত হয়।
    • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: পান্না স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
    • ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি: কোনো কাজ করতে উৎসাহ না থাকলে পান্না ধারণ করলে ইচ্ছাশক্তি ফিরে আসে।
    • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকার: গর্ভাবস্থায় পান্না ধারণ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়া যায়।
    • উচ্চশিক্ষায় সহায়ক: উচ্চশিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা থাকলে, পান্না তার গতি বাড়াতে সহায়তা করে।
    • বৈবাহিক সম্পর্কের উন্নতি: পান্না স্ত্রীর প্রতি সদয় এবং সম্পর্কের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে।
  • আর্থিক উন্নতি:
    • পান্না “সমৃদ্ধির পাথর” হিসেবে পরিচিত, যা নতুন আয়ের সুযোগ আকর্ষণ করে এবং ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • সৃজনশীলতা বৃদ্ধি:
    • পান্না পাথর সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় আনে, বিশেষ করে লেখক, শিল্পী, ও সৃজনশীল পেশার জন্য এটি উপকারী।
  • স্বাস্থ্য উপকারিতা:
    • এটি আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসযন্ত্রের অ্যালার্জি, উচ্চ রক্তচাপ, বাক ব্যাধি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • বৈবাহিক জীবন:
    • পান্না বিবাহিত জীবনে প্রেম, শান্তি, এবং আনন্দ নিয়ে আসে, যা সম্পর্কের মধুরতা বাড়ায়।
  • আধ্যাত্মিক উন্নতি:
    • পান্না আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ঘটায়, শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার মহাজাগতিক শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
  • বক্তৃতা দক্ষতা:
    • এটি কথা বলার ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, বিশেষ করে জনসমক্ষে কথা বলার সময় এটি খুব উপকারী।
  • মানসিক শক্তি:
    • পান্না আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে এবং অতীতের ট্রমা বা আঘাত থেকে মুক্তি দেয়।
  • খ্যাতি ও সম্মান:
    • পান্না ব্যক্তিত্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং খ্যাতি ও সম্মান এনে দেয়।

ব্যবহার:

  • পান্না বিশেষভাবে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ডাক্তার, এবং আর্কিটেক্টদের জন্য উপকারী। এটি যাদের বুধ দুর্বল, তাদের জন্যও বেশ উপকারি।
  • পান্না পরার আগে একজন জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আসল পান্না চেনার উপায়:

আসল পান্না চেনার উপায়

কঠোরতা পরীক্ষা:

  • পান্না মোহস স্কেলে ৭.৫ থেকে ৮ পর্যন্ত কঠোরতা পায়। এটি সহজেই পরীক্ষা করা যায়। আসল পান্না অন্য পাথরের সাথে ঘষলে স্ক্র্যাচ হবে না।

প্রাকৃতিক দৃষ্টি:

  • আসল পান্নার মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক ইনক্লুশন বা দাগ থাকে, যা সাধারণত কৃত্রিম পান্নায় পাওয়া যায় না। এটি পান্নার প্রকৃত সৌন্দর্য এবং পরিচিতির লক্ষণ।

ব্রাইটনেস (উজ্জ্বলতা):

  • আসল পান্না সবুজ রঙের উজ্জ্বল ও ঝকঝকে হয়। এটি শেড পরিবর্তন করতে পারে, তবে স্বচ্ছতা এবং উজ্জ্বলতা থাকে। যদি পান্না খুব কম উজ্জ্বল হয়, তবে তা নকল হতে পারে।

ওজন পরীক্ষা:

  • আসল পান্নার ওজন সাধারণত একটু বেশি হয়, কারণ এটি ঘন এবং বড়। যদি পান্নার ওজন কম হয়, তবে তা সাধারণত নকল পাথর হতে পারে।

দৃষ্টি পরীক্ষা:

  • পান্না যদি একটি সাদা কাপড়ে রাখা হয় এবং একটু উঁচুতে ধরা হয়, তাহলে আসল পান্না কাপড়ের উপর সবুজ শেড তৈরি করবে। যদি সেই শেড দৃশ্যমান না হয়, তবে এটি নকল হতে পারে।

বিশারদ পরামর্শ:

  • আসল পান্না চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো একজন রত্ন বিশারদ অথবা জেমোলজিস্টের সহায়তা নেওয়া। তাদের কাছ থেকে আপনি আসল পান্না সম্পর্কে নিশ্চিততা পেতে পারেন।

পান্না কোন রাশির জন্য উপকারী:

মিথুন (Gemini): পান্না মিথুন রাশির মানুষের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ায়। এটি তাদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা শক্তি উন্নত করে। আর্থিক দিক থেকেও এটি সচ্ছলতা নিয়ে আসে এবং ব্যাবসা বা পেশাগত জীবনকে আরও উন্নত করে।

কন্যা (Virgo): কন্যা রাশির ব্যক্তির জন্য পান্না নেতৃত্ব গুণাবলী বৃদ্ধি করে এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়।

মেষ (Aries): মেষ রাশির জন্য পান্না আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সাহসী হওয়ার শক্তি দেয় এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও সহজ করে তোলে।

বৃষ (Taurus): পান্না বৃষ রাশির ব্যক্তির জন্য সমৃদ্ধি এবং সফলতা নিয়ে আসে। এটি ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাহায্য করে, আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

কর্কট (Cancer): কর্কট রাশির জন্য পান্না পারিবারিক এবং সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি মানুষের মধ্যে শান্তি এবং ভালবাসার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

সিংহ (Leo): সিংহ রাশির জন্য পান্না আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি তাদের সৃজনশীলতা এবং জীবনের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়, সমাজে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করে তোলে।

তুলা (Libra): পান্না তুলা রাশির মানুষের চারিত্রিক গুণাবলী বৃদ্ধি করে, যেমন দয়ালুতা, সৌজন্য এবং সৃজনশীলতা। এটি তাদের জীবনে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে।

বৃশ্চিক (Scorpio): বৃশ্চিক রাশির জন্য পান্না মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং জীবনের গভীরে গিয়ে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা দেয়।

ধনু (Sagittarius): পান্না ধনু রাশির মানুষের জন্য শিক্ষায় উন্নতি আনে এবং তাদের প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করে। এটি তাদের জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং তাদের জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট করতে সাহায্য করে।

মকর (Capricorn): পান্না মকর রাশির পেশাগত জীবনে সাফল্য নিয়ে আসে। এটি তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সহায়ক হয়।

কুম্ভ (Aquarius): পান্না কুম্ভ রাশির মানুষের সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং নতুন ধারণা ও চিন্তা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এটি তাদের ভাবনাকে আরও মুক্ত এবং উদ্ভাবনী করে তোলে।

মীন (Pisces): মীন রাশির জন্য পান্না আধ্যাত্মিক উন্নয়ন এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে। এটি তাদের জীবনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে সাহায্য করে এবং তাদের মানসিক শক্তিকে আরও উন্নত করে।

তবে সবসময় একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোন রাশির জন্য কোন রত্ন পাথর উপকারী তা শুধুমাত্র একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী নির্দিষ্টভাবে বলতে পারেন। তাই, কোন রত্ন পাথর ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন যোগ্য জ্যোতিষী থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আপনাকে সহায়তা করতে পারেন ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী লিটন দেওয়ান চিশতী। তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফের ২৩তম বংশধর হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.) এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত। তিনি চিশতীয় জ্ঞানের অনুশীলন করে সঠিক পথে জীবনযাত্রা, এবং ভাগ্য রেখা নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

(যদি আপনি রত্নপাথরের সুফল জানতে চান, তাহলে জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তিনি সপ্তাহে মঙ্গলবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাক্ষাৎ গ্রহণ করেন।)
ঠিকানা: লেভেল-০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪, ৮৭, ১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪।ইমেইল: info@ajmerigemshouse.com, ওয়েবসাইটঃ https://ajmerigemshouse.com

Leave a Reply