পান্না পাথর
রত্ন পাথর গুলোর গুণগতমান,বিরলতা এবং এবং সৌন্দর্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান চারটি রত্নপাথর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে হীরা, নীলকান্তমণি, রুবি এবং পান্না। আজকে আমরা পান্না সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো । পান্নাকে ইংরেজিতে ডাকা হয় “Emerald” নামে । এই পাথরের আরেকটি চমৎকার নাম হচ্ছে “জমরুদ”। পান্না বেরিল খনিজ পরিবারের অন্তর্গত একটি মূল্যবান রত্ন পাথর।

গঠনঃ
পান্নাকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় Be₃Al₂(SiO₃)₆। রাসায়নিক ফর্মুলা হচ্ছে Be₃Al₂(SiO₃)₆। এছাড়াও এতে ক্রোমিয়াম (Cr) এবং/অথবা ভ্যানাডিয়াম (V) এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় পান্না গঠনের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল প্রথমে হাইড্রোথার্মাল প্রক্রিয়ায় পেগমাটাইটে গঠিত হয়।তারপর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরম পানি এবং দ্রবীভূত খনিজ পদার্থগুলো ক্র্যাক এবং ফ্র্যাকচারে আকারে জমা হয় জমা হয় পরবর্তীতে সেগুলো ঠান্ডা হয়ে পান্না গঠন করে। মোহস স্কেলে পান্নার কঠোরতা ৭.৫ থেকে ৮ পর্যন্ত হতে পারে। এই পাথরটির অভ্যন্তরীণ গঠনকে শক্তিশালী করে তোলে।
অন্যান্য পাথরের চেয়ে পান্নার ইতিহাস অনেক পুরনো।মানব সভ্যতার প্রায় প্রতিটি যুগেই পান্নার ব্যবহারের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলে। একেক সময় এই পাথর ব্যবহৃত হয়েছে একেক রুপে।
প্রাচীন মিশর: ইতিহাস খ্যাত মিশরের বিখ্যাত রানী ক্লিওপেট্রা পান্না ব্যবহার করতেন। রানী ক্লিওপেট্রা মূলত পান্নাকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতেন।রানী এতটাই পান্না পছন্দ করতেন যে তার ব্যবহৃত গহনার অধিকাংশই ছিল পান্না। তৎকালীন সময়ে পান্নার খনি বলতে মিশরকেই বোঝানো হতো। রানী ছাড়াও তৎকালীন মিশরের বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত গয়নাতেও পান্নার অস্তিত্বের সন্ধান মিলে।মিশরীয়রা মূলত সৌন্দর্যের এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে পান্না ব্যবহার করত।
প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতা:
গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় পান্নাকে ব্যবহার করা হতো প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে। তারা বিশ্বাস করতো যে,এই পাথর তাদের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়াতে সাহায্য করে । পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও তারা পান্না ব্যবহার করত। গ্রীক এবং রোমানীওরা বিশ্বাস করত যে পান্না ব্যবহারের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
মধ্যযুগ:
মধ্যযুগে পান্নার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক কাজে।তৎকালীন সময়ে প্রায় সকল ধর্মই তাদের ধর্মীয় কাজে পান্না ব্যবহার করত।এমনকি অনেক রাজা রানীর মুকুটেও পান্না ব্যবহারের ইতিহাস জানা যায়। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীতে পান্না সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে মূল্যবান অলংকার হিসেবে। পান্না একটি প্রাকৃতিক রত্ন পাথর হলেও ১৯৩০ সাল থেকে ল্যাবরেটরীতে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন পান্না বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ।
পান্না পাথর: আধ্যাত্মিক গুণাবলী এবং জ্যোতিষশাস্ত্র
পান্না তার অসাধারণ মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য এবং বৈজ্ঞানিক গুণাবলীর জন্য বিখ্যাত হলেও এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে।সুপ্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পান্না আধ্যাত্মিক গুণাবলীর জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত। চলুন নিছে এই মূল্যবান রত্ন পাথরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আমির উল মোমেনিন, আলি ইবনে আবি তালিব পান্না সম্পর্কে বলেন ,পান্না এমনই একটি মূল্যবান রত্ন পাথর যে , আল্লাহর ইচ্ছায় এই পাথর মানুষের সকল প্রকার বাধা-বিপত্তি দূর করে থাকে। (সুত্রঃ “Huliyat al Muttaqin”, Muhammad Baqir Majlisi, Iran)
তিনি আরো বলেন পান্না মানুষকে রাতের দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত রাখে । (সুত্রঃ “Tuhfah-e-Aalam Shahi”, by: Hakim Muhammad Sharif Khan, during the era of shah Alam II, Delhi, India)
Marifat al Jawahir, Syedi Ibrahim Saify থেকে জানা যায় এই রত্ন পাথর মানুষকে সব ধরনের বিষধর সাপ বিচ্ছু থেকে দূরে রাখে।এই রত্ন পাথর পরিধান করলে তারা মানুষের কাছাকাছি আসতে ভয় পায়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ,পান্না ব্যবহারকারী যদি কোন প্রকার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন ,তবে তার মুখে ঘাম দেখা দিবে ।এ প্রক্রিয়ায় অনেক আগে থেকেই বিষ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় • পান্না পাথর ব্যবহারে শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করে।
ইসলামেও পান্না পাথরের অনেক গুরুত্ব রয়েছে ।ইসলামের নবী হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে তৎকালীন শাসক নমরুদ যখন আগুনে নিক্ষেপ করতে ধরলেন তখন আল্লাহর আদেশে হযরত জিব্রাইল তাকে কালেমা খচিত একটি পান্নার আংটি উপহার দেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে, এই পাথর মানুষকে সব ধরনের দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি দান করে।এখন কি এই পাথর কুষ্ঠ রোগ ও নিরাময় করতে সক্ষম। মোহাম্মদ ইবনে আহমদ বেরুনীর লেখা বিখ্যাত বই “Marifat al Jawahir”তে রত্ন পাথর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,পান্নার সবুজ আভার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
জ্যোতিষ বিশারদদের মতে ,কোন সংসারে যদি অশান্তি চলমান থাকে তাহলে তারা যেন পান্নার আংটি পরস্পর আদান প্রদান করে।এতে করে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।রোগ প্রতিরোধ হিসেবেও পান্নার ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। গর্ভবতী মায়েরা সন্তান প্রসবের সময় পান্না ব্যবহার করলে সন্তান প্রসব প্রক্রিয়া সহজ হয়ে আসে।
আসল পান্না চেনার উপায়
একবিংশ শতাব্দীতে এসে আসল এবং নকল চেনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । বাজারে আসলের চেয়ে নকলের আধিপত্যই বেশি।তাই আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান রত্ন পাথরটি কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত।নিচে আসল পান্না চেনার কিছু উপায় বলা হলোঃ
আসল পান্না সাধারণত সবুজ রঙের হয়ে থাকে। এই সবুজ রং প্রাকৃতিক।তাই কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই পান্নাটি কতটা সবুজ তা যাচাই করে নিতে হবে।
সাধারণত আসল পান্না শীতল হয়ে থাকে।এটি হাত দিয়ে ছুয়ে দেখলে ঠান্ডা অনুভূত হয় । কিন্তু অন্যদিকে নকল পান্না উষ্ণ হয়ে থাকে।এভাবেও আপনি আসল নকলের পার্থক্য করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি পান্নার মোহস কঠোরতা পরীক্ষা করেও আসল নকলের পার্থক্য বুঝতে পারেন। মোহস স্কেলে পান্নার কঠোরতা ৭.৫ থেকে ৮ পর্যন্ত হতে পারে। সর্বোপরি, আপনি একজন রত্ন বিশারদের সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই আসল পান্না চিনতে পারেন।আপনাকে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আছে আজমেরী জেমস হাউজ।এখানে আপনি কোন ধরনের প্রতারণা ছাড়াই আপনি আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে পারেন।
ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ 📧 ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com
অথবা আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজে ORDER NOW এখান থেকে আপনার মূল্যবান রত্ন পাথরটি অর্ডার করতে পারেন।
যে সব রাশির জন্য পান্না ব্যবহার উপকারী
পান্না এমন একটি রত্ন পাথর যা কোন রাশির ব্যক্তিই পড়তে পারে।চলুন প্রত্যেকটি রাশির জন্য পান্না ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক।
মিথুন (Gemini) রাশিঃ এই রাশির ব্যক্তিদের জন্য পান্না তাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে পাশাপাশি তাদের সৃজনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কল্পনার শক্তিকে উন্নত করে।আর্থিকভাবে সচ্ছলতার ক্ষেত্রেও পান্না এ রাশির জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
কন্যা (Virgo) রাশিঃ এই রাশির জন্য পান্না নেতৃত্ব গুণাবলী বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে।সেই সাথে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কন্যা রাশিরজন্য পান্নাকে একটি উপকারী রত্ন পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মেষ (Aries) রাশিঃ মেষ রাশির জন্য পান্না আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বৃষ (Taurus) রাশিঃ সমৃদ্ধি এবং সফলতার জন্য এ রাশির জন্য পান্না একটি বেশ উপকারী রত্ন পাথর।
কর্কট (Cancer) রাশিঃপারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে সম্পর্কের ভিত্তিকে মজবুত করতে কর্কট রাশির জন্য পান্না একটি গুরুত্বপূর্ণ রত্ন পাথর হিসেবে বিবেচিত হয়।
সিংহ (Leo) রাশিঃনেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সিংহ রাশির জন্য পান্না একটি খুবই মূল্যবান রত্ন পাথর ।
তুলা (Libra) রাশিঃচারিত্রিক গুণাবলী উন্নতিকরণ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তুলা রাশির জন্য পান্না বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
বৃশ্চিক (Scorpio) রাশিঃমানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করতে এই রাশির জন্য পান্না একটি অপরিহার্য রত্ন পাথর।
ধনু (Sagittarius) রাশিঃশিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি এবং প্রজ্ঞা বৃদ্ধিতে ধনু রাশির জন্য পান্না খুবই একটি মূল্যবান রত্ন পাথর।
মকর (Capricorn) রাশিঃপেশাগত জীবনে সাফল্য এবং আর্থিক স্বাস্থলতার জন্য মকর রাশির জন্য পান্না ব্যবহার খুবই ফলশ্রুত হতে পারে।
কুম্ভ (Aquarius) রাশিঃসৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য কুম্ভ রাশির ব্যক্তিরা পান্না ব্যবহার করতে পারেন।
মীন (Pisces) রাশিঃআধ্যাত্মিক উন্নয়ন এবং মানসিক শান্তি বৃদ্ধির জন্য পান্নাকে মীন রাশির জন্য সবচেয়ে উপযোগী রত্ন পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে সব সময় একটা কথা মনে রাখবেন যে, কোন রাশির জন্য কোন রত্ন পাথর অপেক্ষা কৃত বেশি উপযোগী হতে পারে তা কেবল একজন জ্যোতিষীর পক্ষেই সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে কোন রত্ন পাথর ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন জ্যোতিষ বিশারদের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দেশ ও বিদেশে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।
জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান ৩০ বছর যাবৎ চিশতীয় জ্ঞানের অনুশীলন করে সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রা, হৃদয়পথ, শিরোনাম এবং ভাগ্য রেখা নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের বাহিরে খুব অল্প সময়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন নিজের দক্ষতা ও জ্যোতিষ জ্ঞান দিয়ে পেয়েছেন গুণীজন সংবর্ধনা এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম থেকে দেওয়া সম্মাননা সনদপত্র। রত্নপাথরের সুফল জানতে মহাজ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের সাথে পরামর্শ করুন।সপ্তাহে মঙ্গলবার ব্যতীত সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আপনি জ্যোতিষরাজের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারেন।
ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ 📧 ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com
পান্না রত্ন কিভাবে পরিষ্কার ও যত্ন নেওয়া যায়
পান্না একটি মূল্যবান রত্ন পাথর হওয়ায় এর পরিচর্যা করাটাও অতীব গুরুত্বপূর্ণ।চলুন এবার পান্নার পরিচর্যার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পরিষ্কার করার পদ্ধতি: প্রথমেই হালকা মৃদু গরম পানিতে সাবান বা হুইল জাতীয় কিছু মিশিয়ে অব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে আপনি পান্না পরিষ্কার করতে পারেন ।
এছাড়াও আপনি বাজারে অনেক ক্লিনিং সলিউশন পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে পারেন।এরপর শুকনো মোলায়েম কাপড় দিয়ে সেটি পরিষ্কার করুন। পান্নাকে সব সময় পরিষ্কার এবং শুকনো জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন ।
পান্নার বিখ্যাত খনিগুলোঃ এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে কলোম্বিয়ার মুসো (Muzo) খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চ মানের পান্না পাওয়া গেছে এছাড়াও কলম্বিয়ার চিভর (Chivor) এবং কসকুয়েজ (Coscuez) খনিতেও উৎকৃষ্ট মানের পান্নার সন্ধান পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি পান্না পাওয়া গেছে সেটি হচ্ছে ব্রাজিল।ব্রাজিলের বাহিয়া এবং মিনাস গেরাইস অঞ্চলের খনিগুলোতে পান্নার সন্ধান পাওয়া গেছে।ব্রাজিলিয়ান পান্নার একটি বিশেষ দিক হলো এই পান্না তীব্র রঙ বিশিষ্ট এবং সুস্থতার অধিকারী হয়ে থাকে। এছাড়াও আফগানিস্তান,জিম্বাবুয়ে অস্ট্রিয়া রাশিয়াতেও পান্নার সন্ধান মিলেছে।
পৃথিবীর বিখ্যাত কয়েকটি পান্না
পৃথিবীবাসী এখন পর্যন্ত বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক পান্না দেখেছে যেগুলো সত্যিই মনমুগ্ধকর এবং বিস্ময় কর।চলুন পৃথিবীর ইতিহাসে পাওয়া এমন বেশ কিছু পান্না সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এই তালিকার প্রথমেই থাকবে ফুরুরো পান্না (Fura Emerald) এটি ২০১৮ সালের কলম্বিয়ার এক খনি থেকে আবিষ্কৃত হয়।এর ওজন ছিল ২,৬৮৫ ক্যারেট।এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পান্না।
প্যাট্রিশিয়া পান্না (Patricia Emerald): এটিও ২০২০ সালে কলম্বিয়া তে পাওয়া যায়।এর ওজন ছিল ৬৩২ ক্যারেট। পৃথিবীর ইতিহাসে স্ফটিক আকারে থাকা এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পান্না। বর্তমানে এটি আমেরিকার ন্যাশনাল হিস্ট্রি অফ মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে ।
ডিউক অফ ডেভনশায়ার পান্না (Duke of Devonshire Emerald): ব্রাজিলে আবিষ্কৃত এই পান্নার ওজন ছিল ১,৩৮৩.৯৩ ক্যারেট। ব্রাজিলে আবিষ্কৃত এখন পর্যন্ত পাওয়া এটি সর্ববৃহৎ এবং বিখ্যাত পান্না। ডিউক অফ ডেভনশায়ার পান্না বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে ।
মোগল পান্না (Mogul Mughal Emerald): এটি ১৬৯৫ সালে আবিষ্কৃত হয়।এর ওজন ছিল ২১৭.৮০ ক্যারেট। এর বিশেষত্ব হলো এই পান্নায় মোগল আমলের প্রার্থনা সম্মলিত শ্লোক খোদিত ছিল।
গাচালা পান্না (Gachala Emerald): যা ১৯৬৭ সালে কলোম্বিয়ায় আবিষ্কৃত হয়। পান্নার ওজন ছিল ৮৫৮ ক্যারেট। বর্তমানে এটি স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত আছে ।
পান্নার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং উপকারিতা আপনি এ ব্লগের মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পেরেছেন।এই মূল্যবান রত্ন পাথর আপনার জীবন থেকে সকল ধরনের পারিবারিক,সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি দিয়ে আপনার জীবনকে সুখ এবং সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করতে পারে। তাই সব সময় সঠিক রত্ন পাথর ব্যবহার করুন ,এবং রত্ন পাথরের সুফল ভোগ করুন। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো আবারও বলছি রত্ন পাথর ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন রত্ন বিশারদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।এক্ষেত্রে আপনার জন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী বেস্ট চয়েজ হতে পারে।
ধন্যবাদ,ভাল থাকুন।