পৃথিবীতে যে কয়টি মূল্যবান দুর্লভ রত্ন পাথর রয়েছে তার মধ্যে পেরিডট (Peridot) অন্যতম। পেরিডট তার মন জুড়ানো সবুজ রঙের জন্য জগৎ জুড়ে বিখ্যাত।সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পৃথিবীতে শুধুমাত্র সবুজ রঙের পেরিডট পাওয়া যায়।যা এই পাথরটিকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আজকেরে ব্লগে আমরা পেরিডট পাথরের ইতিহাস ,বৈশিষ্ট্য ,ব্যবহার বিধি ,এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন দেরি না করে যাওয়া যাক মূল ব্লগে।
গঠন ও বৈশিষ্ট্যঃ
পেরিডট পাথরের অভ্যন্তরীণ গঠন এই পাথরটিকে মূল্যবান এবং সেই সাথে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পেরিডট পাথরের রাসায়নিক সংকেত (Mg, Fe) 2 SiO 4 । পেরিডটের প্রধান রাসায়নিক উপাদান ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এবং লোহা (Fe)। লোহার কারণে পেরিডটের রঙ সবুজ হয়ে থাকে। সিলিকা (SiO₂) এবং অক্সিজেনের সংমিশ্রণ পেডিডটের কাঠামো গঠনে সাহায্য করে।

বৈশিষ্ট্যঃ
পৃথিবীতে একমাত্র সবুজ রঙের পেরিডট পাওয়া যায়।মূলত লোহা এবং ম্যাগনেসিয়ামের কারণে পেরিডট সবুজ রঙের হয়ে থাকে। মোহস স্কেলে পেরিডটের কঠোরতার মান ৬.৫ থেকে ৭ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই পাথরকে সৌভাগ্য এবং সুখের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পেরিডটের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হলো সূর্যের আলোতে এর উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকে।রোমান এবং গ্রীকরা বিশ্বাস করেন যে, এই পাথরে এমন এক ধরনের গুপ্ত শক্তি রয়েছে যা যেকোন বিষক্রিয়া নিরাময় করতে পারে।
ইতিহাসঃ
পেরিডট পাথরের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন সভ্যতায় এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে যে পেরিডট কতটা মূল্যবান পাথর।প্রাচীনকালে পেরিডট মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল।চলো নিচে সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
প্রাচীন মিশর: প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত সূর্য দেবতা রা-এর সাথে পেরিডটের যোগসূত্র রয়েছে।এবং তারা পেরিডটকে সূর্য দেবতা রা-এর আশীর্বাদপুষ্ট বলে মনে করত।পেরিডটকে তৎকালীন মিশরীয়রা “সূর্যের রত্ন” নামে ডাকত।তাদের বিশ্বাস ছিল এই পাথরের সবুজ রঙ অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে। মিশরীয় কিংবদন্তী রানী ক্লিওপেট্রা পেরিডটকে এসমেরাল্ড মনে করে বিশেষ সম্মানের সাথে সংগ্রহ করতেন।মিশরের পুরোহিত এবং রাজারা পেরিডটকে পবিত্র রত্ন মনে করতেন।তারা বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে পেরিডটের ব্যবহার করতেন। আজ থেকে প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে মিশরের তপ্ত দীপ থেকে প্রথম পেরিডট সংগ্রহ শুরু হয়েছিল। মিশরের সভ্যতা,সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সঙ্গে পেরিডটের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
প্রাচীন রোম: পেরিডটের উজ্জ্বল সবুজ রঙের কারণে প্রাচীন রোমানরা এই পাথরকে “Evening Emerald” নামে ডাকত।তারা বিশ্বাস করত এই পাথর মানসিক শান্তি এবং অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে। রোমান মেয়েরা আংটি ,নেকলেস এবং কানের দুল হিসেবে পেরিডট ব্যবহার করত।
সৌন্দর্য এবং শোভাবর্ধনের প্রতীক হিসেবে তৎকালীন সময়ে রোমানদের কাছে পেরিডটের বেশ কদর ছিল যা পাথরটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।
প্রাচীন ভারত: প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে পেরিডট বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহৃত হতো। তৎকালীন ভারতবর্ষে জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে,পেরিডটকে সৌভাগ্য,সাফল্য এবং মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হত। অলংকার হিসেবেও ভারতীয়রা পেরিডটের ব্যবহার করত।
মধ্য প্রাচ্য: মধ্যপ্রাচ্য এবং ইসলামী সংস্কৃতিতে পেরিডটকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তৎকালীন স্থাপনায় সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে পেরিডট ব্যবহার করা হত।
প্রাচীন চীন: প্রাচীন চীনা সংস্কৃতিতে পেরিডটকে ধন-সম্পদ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হত।সেই সময় চীনারা ব্যবসায়িক যেকোনো কাজে পেরিডট ব্যবহার করত।তাদের বিশ্বাস ছিল এই পাথর তাদের ব্যবসায়িক উন্নতিতে ভূমিকা রখে।
উৎস বা খনিঃ
চলুন এক নজরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিখ্যাত কয়েকটি পেরিডট পাথরের খনি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা (Arizona, USA): পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পেরিডট সরবরাহকারী তালিকায় যে দেশের নাম আছে সেটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের পেরিডট পাওয়া যায়।
মিশর: প্রাচীনকাল থেকেই পেরিডট উৎপাদনের জন্য মিশরের সুখ্যাতি ছিল।মিশরের সেন্ট জন দ্বীপ (St. John’s Island) পেরিডট উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত।মিশরের পেরিডটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো চোখ ধাঁধানো সবুজ রঙ। মিশর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পেরিডট উৎপাদনকারী দেশ।
মিয়ানমার (বার্মা): বর্তমানে বিশ্ববাজারে মিয়ানমারের পেরিডটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এর পিছনে প্রধান কারণ হলো উজ্জ্বল সবুজ রঙ। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল সবুজ রঙের পেরিডট পাওয়া যায় মিয়ানমারের মোঘোক অঞ্চলে।এই অঞ্চলের পেরিডটের চাহিদা বিশ্বব্যাপী।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের কাশ্মীর রাজ্য এবং শাংগু উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত।এই অঞ্চলের খনি গুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সবুজ এবং হালকা হলুদ আভা।অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এই অঞ্চলের পেরিডটের চাহিদা এবং মূল্য অনেক বেশি।
চীন: চীনের হেনান প্রদেশে পেরিডট পাওয়া যায়। চীনের পেরিডটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আকর্ষণীয় উজ্জ্বল সবুজ রঙ এবং স্বচ্ছতা।
নরওয়ে: পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পেরিডট উৎপাদনকারী তালিকা রয়েছে নরওয়ে।নরওয়ের ত্রোন্ডহেইম অঞ্চলে এই রত্ন পাথর পাওয়া যায়।এই অঞ্চলের রত্ন পাথরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সেগুলো ক্ষুদ্র আকারের হয়ে থাকে।
পেরিডট পাথরের উপকারিতাঃ
পেরিডট পাথরের মোহনীয় সৌন্দর্য যেমন খুব সহজেই যে কোন কাউকে মোহিত করতে পারে,তেমনি এর উপকারিতাও সৌন্দর্যের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।চলুন পেরিডট পাথরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: পেরিডটপাথরের ব্যবহারে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।পাশাপাশি এই রত্ন পাথর ব্যবহারে মানসিক স্থিতিশীলতা মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এই পাথর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে সেই সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বাড়ায়। পেরিডট পাথর ব্যবহারে মানুষের মাঝে পজিটিভিটি বা ইতিবাচক চিন্তাধারার সৃষ্টি হয়।
আধ্যাত্মিক এবং মানসিক উন্নতি: আত্মিকভাবে মানুষকে শক্তিশালী করতে পেরিডট পাথর ভূমিকা রাখে।সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রত্ন বিশারদগণ বলেন এই পাথর আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং শক্তির আধার হিসাবে কাজ করে।ধ্যান কিংবা যোগব্যায়ামে এই পাথর সহায়ক ভূমিকা রাখে।
চাকরির উন্নতি ও সমৃদ্ধি:ব্যক্তিগত জীবন অথবা ব্যবসায়িক উন্নতির পিছনে এই পাথর অনেক বড় অবদান রাখে। সফলতা এবং আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি হিসেবে পেরিডট ব্যবহৃত হয়।এই রত্ন পাথর ব্যবহারে ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনে।
শারীরিক উন্নতি: যারা হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য পেরিডট মুক্তির পথ হতে পারে।এই পাথর হজমজনিত সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে।অনেকেই বিশ্বাস করেন যে,হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পেরিডট সাহায্য করে।এই পাথর শরীরকে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে সুরক্ষা প্রদান করে।
ভাগ্য উন্নতি:জীবনে উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পিছনে পেরিডট পাথরকে সহায়ক হিসেবে মনে করা হয়। ভাগ্য বদলাতে এই পাথর সাহায্য করে।
সম্পর্কের উন্নতি: পেরিডট পাথর ব্যবহারে ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।এই পাথর সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়ন এবং দ্বন্দ্ব দূর করতে মাধ্যম হিসেবে সাহায্য করে থাকে।এটি ব্যবহারে সমতা বৃদ্ধি পায় এবং সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।পেরিডট ব্যবহারে দাম্পত্য জীবন সুখের এবং সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
এছাড়াও পেরিডট পাথর ব্যক্তি জীবনে অনেক ভাবে ভূমিকা রেখে থাকে। এই পাথরের আরো গুনাগুন এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনারা শরণাপন্ন হতে পারেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং রত্ন বিশারদ লিটন দেওয়ান চিশতীর দর্শনে। জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান ৩০ বছর যাবৎ চিশতীয় জ্ঞানের অনুশীলন করে সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রা, হৃদয়পথ, শিরোনাম এবং ভাগ্য রেখা নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের বাহিরে খুব অল্প সময়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন নিজের দক্ষতা ও জ্যোতিষ জ্ঞান দিয়ে পেয়েছেন গুণীজন সংবর্ধনা এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম থেকে দেওয়া সম্মাননা সনদপত্র।ব্যক্তি জীবনের সকল অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সনামধন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের দর্শনে আসুন।
অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবীদ, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সরকারী কর্মকর্তা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লিটন দেওয়ান চিশতির পরামর্শ, দিকনিদের্শনা ও তার কাছ থেকে রত্নপাথর ব্যবহার করে সুফল লাভের পর তাকে সনদ প্রদান করেছেন। তার পরামর্শ, নির্দেশনা ও পরামর্শে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হন।জ্যোতিষ রাজের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।
মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪
ইমেইলঃ info@ajmerigemshousebd.com
রাশি ভেদে পেরিডটের উপকারিতাঃ
জ্যোতিষ বিশারদদের মতে পেরিডট সবচেয়ে বেশি সিংহ (Leo) রাশির জন্য ব্যবহার করা উত্তম। তবে অন্য রাশির জাতকদের জন্য এটি উপকারী।চলুন সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সিংহ (Leo): সিংহ রাশির জন্য এই পাথর মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।সিংহ রাশির জাতকদের নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি এবং জীবনকে সহজ করতে পেরিডট পাথর সাহায্য করে।
বৃশ্চিক (Scorpio): এই রাশির জাতকদের জন্য পেরিডট পাথর মানসিক অশান্তি এবং স্থিতিশীলতা দূর করতে সাহায্য করে। সৃজনশীল কাজের জন্য বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য এই পাথরকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়।
কুম্ভ (Aquarius): কুম্ভ রাশির জন্য পেরিডট পাথর নতুন কর্মসংস্থান ও সম্ভাবনা সৃষ্টিতে সাহায্য করে।এই জাতকদের জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উন্নতির জন্য পেরিডট পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।
কন্যা (Virgo):মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধিতে কন্যা রাশির জন্য পেরিডট সাহায্য করে।
মকর (Capricorn):মকর রাশির জন্য এই পাথর জীবনকে সমৃদ্ধশালী এবং সুখী করতে সাহায্য করে।দুশ্চিন্তা দূর এবং অনিদ্রা সমস্যা দূর করতেও মকর রাশির জন্য পেরিডট পাথরকে খুবই কার্যকারী বলে মনে করা হয়।
তবে পেরিডট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উত্তম।কেননা আপনার রাশির জন্য পেরিডট ব্যবহার কতটা উপকারী হতে পারে তা একমাত্র কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পক্ষেই বলা সম্ভব। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে পেরিডট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ,অবশ্যই কোন জ্যোতিষ কিংবা রত্ন বিশারদের শরণাপন্ন হন।এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী লিটন দেওয়ান চিশতী। তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।
তিনি নিজেকে এবং তার অনুসারীদেরকে আধ্যাত্মিক সাধনায় চিশতীয় তরিকার আলোয় আলোকিত করতে চান। জ্যোতিষশাস্ত্রে দক্ষ এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী। জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত লিটন দেওয়ানের পরামর্শে সুফল লাভ করছেন। জ্যোতিষ রাজ হতাশ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি। দুঃখ দূর্দশা থেকে মুক্তি। পারিবারিক কলহ থেকে মুক্তি দৈব দূর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি। রাশিফল গণণার মাধ্যমে জটিল সমস্যার সমাধান । ব্যবসায়িক উন্নতি। লেখাপড়ায় অমনোযোগ। মানুষিক ও পারিবারিক অশান্তি ।
স্বামী স্ত্রী অমিল, সংসারে অশান্তি। রাশিফল এর মাধ্যমে পাথর নির্ধারণসহ জটিল সব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। আপনার সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে আজও চলে আসুন
লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪
ইমেইলঃ:info@ajmerigemshousebd.com
পেরিডট পাথরের গহনা আইডিয়াঃ
গহনা প্রেমীদের কাছে পেরিডট একটি পছন্দের নাম। এর সবুজ রঙ যে কাউকেই খুব সহজে মুগ্ধ করে।পেরিডট দিয়ে দুর্দান্ত কিছু গহনা বানানো যায়।এই সম্পর্কে নিচে কিছু আইডিয়া দেওয়া হলো।
পেরিডট আংটি (Peridot Rings) পেরিডট পাথর দিয়ে তৈরি সোলিটেয়ার আংটি গহনা প্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।পেরিডটের সবুজ রঙ একে বেশ আকর্ষণীয় করে তোলে। এই ধরনের আংটি সাধারণত বিয়েতে কিংবা বাগদানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পেরিডট কানের দুল (Peridot Earrings):বর্তমান ট্রেন্ডিং অনুযায়ী পেরিডট পাথরের তৈরি কানের দুল বেশ জনপ্রিয়।দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এই ধরনের দুল বেশ উপযুক্ত এবং সেই সাথে আকর্ষণীয়। যারা ভারী অলংকার পছন্দ করেন না ,সাদামাটা ভাবে থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য পেরিডটের দুল সবচেয়ে বেস্ট অপশন হতে পারে।
পেরিডট নেকলেস (Peridot Necklaces):যারা ফ্যাশনেবল এবং ক্লাসিক অলংকার পছন্দ করেন তাদের জন্য পেডিডটের নেকলেস সবচেয়ে উপযুক্ত।বর্তমান সময়ে কাউকে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও পেরিডটের নেকলেস ব্যবহার করার রীতি চালু হয়েছে।
এছাড়াও আপনি পেরিডটের তৈরি অ্যাঙ্কলেট (Anklets), কফলিংক (Cufflinks) , টায়রা (Tiaras) ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে সঙ্গে আকর্ষণীয় , মর্ডান এবং ব্যক্তিত্বপূর্ণ করে তুলবে।
আসল পেরিডট পাথর চেনার উপায়ঃ
একবিংশ শতাব্দীতে আসল এবং নকলের পার্থক্য করা অনেক কঠিন। তবে আপনি যদি পেরিডট পাথরের বৈশিষ্ট্য গুলো ভালোভাবে জানেন তবে আপনি আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।চলুন পেরিডট পাথর চেনার সাধারণ কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
আমরা জানি যে, সাধারণত পেরিডট পাথরের রঙ হলুদাভ এবং সবুজ রঙের হয়ে থাকে।মনে রাখবেন রঙ যদি খুব উজ্জ্বল হয় তবে সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।রঙ-এর এই বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমেও আপনি আসল নকলের পার্থক্য করতে পারেন।
পেরিডট পাথরের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্বচ্ছ এবং ঝকঝকা প্রকৃতির হয়।পাথরে কেনার সময় এই বৈশিষ্ট্যটিও আপনি লক্ষ রাখতে পারেন।
পাথ পাথরের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো এই পাথর সাধারণত শীতল হয়ে থাকে।যেকোনো অবস্থাতেই এই পাথর স্পর্শ করলে শীতল অনুভব হয়।এই বৈশিষ্ট্যটির মাধ্যমেও আপনি আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবেন।
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি যে পেরিডটের মহোস কঠোরতা ৬.৫-৭।তাই বলা যেতে পারে এটি মোটামুটি একটি মজবুত শক্ত পাথর এবং এর মধ্যে সাধারণত সহজে স্ক্র্যাচ করা যায় না।পক্ষান্তরে নকল পাথরে খুব সহজেই স্ক্র্যাচ করা যায়।কঠোরতার মানের এই দিকটি বিবেচনা করেও আপনি আসল এবং নকলের মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
আসল পেরিডট পাথর একটু ভারী হয়। আপনি যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে হাতে নিলে আসল এবং নকলের মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
তবে,আমরা সব সময় একটা কথা বলে থাকি যে, আপনার মূল্যবান কাঙ্ক্ষিত রত্ন পাথরটি কেনার আগে অবশ্যই কোন রত্ন বিশারদ কিংবা বিশ্বস্ত কোন মাধ্যম থেকে নিতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনার প্রতারিত কিংবা ধোকা খাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আপনাদের কথা বিবেচনা করে বিগত কয়েক দশক ধরে বিশ্বস্ত এবং সততার সাথে “আজমেরী জেমস হাউজ” আপনাদের সেবা করে আসছে। এখানে আপনি দেশ-বিদেশের সকল ধরনের মূল্যবান আসল রত্ন পাথর পাবেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী, জ্যোতিষ রাজ লিটন দেওয়ান চিশতী। তাই আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান আসল পেরিডট সংগ্রহ করতে আজই চলে আসুন “আজমেরী জেমস হাউজে”।
ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪
ইমেইলঃinfo@ajmerigemshousebd.com
অথবা আপনি চাইলে ঘরে বসে কোন ধরনের দুশ্চিন্ত ছাড়াই ORDER NOW এই ঠিকানায় অর্ডার করে আপনার মূল্যবান রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে পারেন।