বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীর বুকে রয়েছে রত্নের অসীম সম্ভার। এসব রত্নের রত্নের চোখ ধাঁধানো বর্ণালী বিচ্ছুরণ ও প্রতিফলন আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। এই রত্ন গুলোর মধ্যে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ রত্নকে নবগ্রহের রত্ন নামে ডাকা হয়। নবগ্রহের রত্নের প্রথম রত্ন হচ্ছে রুবি। রুবিকে বাংলায় চুনি নামে রাখা হয়। উপকারিতা এবং সৌন্দর্যের দিক বিবেচনায় রুবিকে পাথরের রাজা বলা হয়। আজকে আমরা এই রত্ন পাথরের গঠন , ইতিহাস,উপকারিতা প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
গঠন ও বৈশিষ্ট্যঃ
রুবি শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ রুবার থেকে , বাংলা যার আভিধানিক অর্থ লাল। এটি মূলত অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al₂O₃) এর একটি প্রকার। রুবি অ্যালুমিনিয়াম, অক্সিজেন, লোহা এবং ক্রোমিয়ামের মিশ্রণে গঠিত হয়। রুবি মেটাফিজিক্যাল ওয়ার্ল্ডের একটি উষ্ণ পাথর।
বৈশিষ্ট্যঃ
রুবির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর মন কাড়া লাল রঙ। মূলত রুবিতে ক্রোমিয়ামের উপস্থিতির কারণে এটি লাল রঙের হয়ে থাকে।
রুবির মহোস কঠোরতার মান ৯। প্রাকৃতিক রত্নগুলির মধ্যে, শুধুমাত্র ময়সানাইট এবং হীরার কঠোরতার মান ১০। এই দিক বিবেচনায় রুবি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত রত্ন পাথর গুলির মধ্যে দ্বিতীয়। ফলশ্রুতিতে এটি ময়সানাইট এবং হীরার পর পৃথিবীর সবচেয়ে দ্বিতীয় শক্ত পাথর।
রুবির আপেক্ষিক গুরুত্ব ৩.৯৯ এবং পরাবর্তন অনুপাত ১.৭৬৫ এবং ০.০০৮।
এই রত্ন পাথরের বিকীর্ণতার অনুপাত সাধারণত ০.০১৮ হয়ে থাকে।
ইতিহাসঃ
ইতিহাস থেকে জানা যায় রুবি পাথর কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের প্রতিটি পরতে পরতে রুবি পাথরকে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রাচীন ভারত:
প্রাচীন ভারতে রুবিকে ঐতিহ্য এবং মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো।প্রধানত প্রাচীন ভারতের রাজা এবং অভিজাত ব্যক্তিরা গহনা হিসেবে রুবি ব্যবহার করত তৎকালীন।
বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে খুবই গুরুত্ব সহকারে রুবি ব্যবহৃত হতো।
সেই সময়কার বিভিন্ন মূর্তি,মুদ্রা,শিল্পকর্ম এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনেও রুবি ব্যবহারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
প্রাচীন মিয়ানমার (বর্মা):
প্রাচীনকালে মিয়ানমারের হ্পোয়া ক্লাং অঞ্চল রুবি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই অঞ্চলের রুবির প্রধান বিশেষত্ব ছিল গভীর লাল রঙ এবং উজ্জ্বলতা। প্রাচীন বার্মার রাজারা সম্মান এবং ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে রুবি ব্যবহার করত।সে সময় রুবিকে রাজকীয়তা এবং ঐতিহ্যের চিহ্ন হিসেবে সমাদৃত করা হতো। তৎকালীন সময়ে মিয়ানমারের বাণিজ্যের বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল রুবি।প্রাচীন কালে মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে রুবি গভীরভাবে প্রোথিত ছিল।
প্রাচীন চীন:
প্রাচীন চীনে রুবি পাথর বেশ সুপ্রসিদ্ধ ছিল। চীনা সংস্কৃতিতে রুবি পাথরকে সৌন্দর্য সৌভাগ্য এবং শক্তির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।চাইনিজ পুরোহিতরা রুবিকে আধ্যাত্মিক শক্তির আধার হিসাবে বিবেচনা করত। তারা বিশ্বাস করত ,এই পাথর মানুষকে সকল ধরনের অপশক্তি এবং প্রেতাত্মার হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রাচীন মিশর:
প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন মূর্তি ,চিত্রকলা, এবং স্থাপত্য শিল্পে রুবি ব্যবহৃত হতো।তৎকালীন সময়ে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে রুবি ব্যবহৃত হতো।মিশরীয় নারীদের অলংকার হিসেবে পছন্দের তালিকার সবার উপরে ছিল রুবি। আধ্যাত্মিকভাবেও মানসিক শান্তির আধার হিসাবে মিশরীয়রা রুবি ব্যবহার করত। সেই সময় রুবি ছাড়া কোন একটি বিয়ে সম্পন্ন হওয়া অকল্পনীয় ছিল।
উৎস বা খনিঃ
চলুন এক নজরে পৃথিবীর কয়েকটি বিখ্যাত রুবির খনি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মিয়ানমার (বর্মা):
হ্পোয়া ক্লাং (Mogok):
পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের রুবি পাওয়া যায় মিয়ানমারের হ্পোয়া ক্লাং এলাকায় (Mogok)। এই এলাকার উৎপন্ন রুবি বিশ্বজুড়ে পরিচিত তার উৎকৃষ্ট গাঢ় উজ্জ্বল লাল রঙের জন্য।
ক্যালোয়া:
বার্মার ক্যালোয়া (Kyaukse) অঞ্চলও রুবি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
থাইল্যান্ড:
চিট্টচা (Chanthaburi):
সাদা হাতির দেশ খ্যাত থাইল্যান্ডের চিট্টচা অঞ্চল রুবি উৎপাদনের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ।এই অঞ্চলের উৎপাদিত রুবি গহনার কাজের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
সান (Sang):
থাইল্যান্ডের সান অঞ্চলেও রুবি উৎপন্ন হয়।
শ্রীলঙ্কা:
বান্দারওয়েলা (Bandarawela):
শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় রুবির খনি রয়েছে শ্রীলংকার বান্দারওয়েলাতে।
রহুকার (Ratnapura):
শ্রীলঙ্কার রহুকার (Ratnapura) প্রধানত সাফায়ার উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলেও, এখানে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় রুবি খনি।
এছাড়াও মাদাগাস্কারের আইফানো (Ilakaka) ,বেকা (Bekily) এবং ভারতের মধুরাই (Madurai) ,কর্ণাটকে রুবি রত্ন পাথরের খনি রয়েছে।
বিভিন্ন ধর্মে রুবি রত্ন পাথরের গুরুত্বঃ
ইসলাম ধর্ম:
আজ থেকে প্রায় দুইশত বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সাধক মাওলানা “সাইয়েদি ইব্রাহিম সাইফি” রুবি পাথর সম্পর্কে বলেছেন-“ হযরত আদম (আঃ) জান্নাত থেকে পৃথিবীর শ্রীলঙ্কায় অবতরণ করেন। অবতরণের সময় তার পবিত্র পায়ের স্পর্শে রুবি পাথরের সৃষ্টি হয়েছিল।”
অন্যদিকে, “মাকতাল আবি আব্দুল্লাহ ইমাম আল হুসাইন” এর বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় যে,হযরত হুসাইন (রাঃ) -এর শাহাদাতের দিন তার হাতে রুবি পাথরের তৈরি আংটি ছিল।মহান আল্লাহতালা “রুবি পাথর” সম্পর্কে পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা আর-রহমানের ৫৮ ও ৫৯ নং আয়াতে বলেছেন- “ইহা যেন এক একটি প্রবাল ও রুবি, সুতরাং তোমরা (মানুষ ও জীণ) তোমাদের মালিকের (আল্লাহ্র) কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে”?
বিখ্যাত মনিষী মুহাম্মাদ বাকির আল মাজলিসি (১৬১৬-১৬৯৮) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস থেকে পাওয়া যায় , মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেনঃ “সকলের জন্য এই পাথর (রুবি) সব থেকে উপকারী”।
ইরানের বিখ্যাত মনীষী আব্দুল্লাহ ইমাম জাফর আসাদ্দিক বলেন“এটা (রুবি) দারিদ্রতা এবং দুশ্চিন্তা দূর করে”।
হিন্দুধর্ম:
হিন্দু ধর্মে রুবিকে সূর্যের রত্নপাথর হিসাবে অভিহিত করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, স্বর্গীয় নয়টি রত্ন পাথরের একটি হচ্ছে রুবি।বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে রুবি পাথরকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।
খ্রিস্টান ধর্ম:
খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে এবং বহুবার বুক অফ এক্সোডাসে রুবি পাথরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মে রুবি পাথরকে অত্যন্ত পবিত্র পাথর বলে মনে করা হয়। তারা বিশ্বাস করে এই পাথরে এমন এক ধরনের শক্তি আছে যা অপশক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।
রুবির জ্যোতিষশাস্ত্রীয় উপকারিতাঃ
রুবিকে বলা হয় রত্ন পাথরের রাজা। জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে রুবির সম্পর্ক সূর্যের সঙ্গে আর অন্যদিকে সূর্যকে সমস্ত শক্তির আধার হিসাবে মনে করা হয়। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এ পাথরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন সে সম্পর্কে একটু জেনে নেই।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, রুবি ব্যক্তির জীবনীশক্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
পারিবারিক সম্পর্ক উন্নতির ক্ষেত্রেও রুবি পাথর ভূমিকা রাখে।জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা আছে যে, পারিবারিক সম্পর্ককে সুদৃঢ এবং উন্নত করতে রুবি পাথরের জুড়ি নেই।
ব্যক্তি জীবনে কর্ম এবং সুজনশীল উদ্ভাবনী চিন্তা প্রসারণেও রুবি পাথর ভূমিকা রাখে। মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং উন্নত চেতনা শক্তির বৃদ্ধিতেও রুবি পাথর কার্যকরী অবদান রাখে।সর্বোপরি এই পাথর ব্যক্তি জীবনে ইতিবাচক চিন্তা ধারার প্রসার ঘটায়। রুবি পাথরের জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় আরো উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী , জ্যোতিষ সম্রাট লিটন দেওয়ান চিশতির সঙ্গে। যে সুদীর্ঘ ৩০ বছর যাবত নিষ্ঠা এবং সততার সহিত মানব সেবা করে আসছেন। তাই ব্যক্তি জীবনের সকল অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সনামধন্য জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী সাহেবের দর্শনে আসুন।জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত লিটন দেওয়ানের পরামর্শে সুফল লাভ করছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জোতিষী লিটন দেওয়ান চিশতী মানব সেবায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন।মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে দেশে এবং দেশের বাইরে কুড়িয়েছেন খ্যাতি, সুনাম ও প্রশংসা। একদিনে নয় ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করতে হয়েছে। মানবসেবার পরিধি আরো বিসতৃত করার উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। জ্যোতিষ রাজের ঠিকানা লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪ ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com
কাদের জন্য রুবি ধারণ করা বিশেষ উপকারীঃ
সৃজনশীল এবং মুক্ত পেশাজীবীদের জন্য রুবি বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়াও জ্যোতিষীদের মতে , চিকিৎসক, বিভিন্ন স্তরেরনীতিনির্ধারক , বিচারপতি , প্রত্নতত্ত্ববিদ,শিক্ষকদের জন্য রুবি খুবই কার্যকরী।
কোন রাশির জাতক জতিকারা রুবি ধারণ করতে পারেঃ
সাধারণত সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য রুবি (Ruby ) ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও যাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর ঘাটতি রয়েছে তাদের জন্যও রুবি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে রত্ন পাথর ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেয়া উচিত। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যাওয়ার পর ২৩তম বংশধর আজমীর শরিফের বর্তমান পীর সাহেব হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।তিনি নিজেকে এবং তার অনুসারীদেরকে আধ্যাত্মিক সাধনায় চিশতীয় তরিকার আলোয় আলোকিত করতে চান। জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষী। লিটন দেওয়ান চিশতীকে অনুসরন করেন তার ভক্তরা, তাই তাদের দোয়া ও ভালবাসাকে শক্তিতে পরিণত করে সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি।
আসল রুবি পাথর চেনার উপায়ঃ
বর্তমান সময়ে আসল এবং নকলের পার্থক্য করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করে আপনি আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবেন। চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আমরা জানি যে,রুবি একটি উজ্জ্বল গাঢ় লাল রঙের রত্ন পাথর। পাথরটি যদি ফ্যাকাসে এবংঅস্বাভাবিক রঙের হয় হয়ে থাকে তাহলে সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রঙের এই বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে আপনি আসল এবং নকল পাথরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন।
আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি যে, হীরার পরেই রুবি সবচেয়ে শক্ত প্রকৃতির রত্ন পাথর।তাই খুব সহজে এটি দিয়ে যে কোন কাঁচের উপর স্ক্রাচ করা যায় । রুবির এই বৈশিষ্ট্য দিয়েও আপনি আসল এবং নকল পাথরের পার্থক্য করতে পারবেন।
রুবি পাথরকে কোন সাদা স্বচ্ছ কাঁচের বাক্সে রাখলে তা লাল আকৃতি ধারণ করে। এভাবেও আপনি আসল পাথরটি নির্ণয় করতে পারেন। তবে সবচেয়ে উত্তম এবং নির্ভরযোগ্য উপায় হলো কোন অভিজ্ঞ এবং বিশ্বস্ত জ্যোতিষীর তত্ত্বাবধানে রত্ন পাথর সংগ্রহ করা।এতে করে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।এই ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রত্ন বিপণি প্রতিষ্ঠান আজমেরী জেমস হাউজ। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে বিশ্বস্ততা এবং সততার সাথে মানব সেবা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে আছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষী, জ্যোতিষ রাজ লিটন দেওয়ান চিশতী। তিনি বলেন, বাজারে নানা রকম রত্নপাথর পাওয়া যায়। চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাদের রং আর উজ্জল বর্ণচ্ছটার আভা দেখলে। কিন্তু এসব রত্নপাথরের ভিড়ে কি করে চিনবেন আসল পাথর। রত্নপাথর আসল নাকি নকল বোঝার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ চোখ। জানতে হবে রত্নপাথরের আকৃতি, রঙ, স্বচ্ছতা ও ভেতরের সুক্ষ্ম যে সব অবাঞ্চিত পদার্থ থাকে সে সম্পর্কে। তার বিন্যাস দেখে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে হবে। তাই আপনার মূল্যবান পছন্দের রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে আজই চলে আসুন আজমেরী জেমস হাউজে।
ঠিকানাঃ লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪
ইমেইলঃ Email: info@ajmerigemshousebd.com এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে Natural Ruby Star Stone Price | Best Ruby Stones in BD এই ঠিকানায় অর্ডার করে আপনার মূল্যবান রত্ন পাথরটি সংগ্রহ করতে পারেন।
আর হ্যাঁ , মনে রাখবেন “Wearing a genuine gemstone is not just an adornment; it’s an embrace of nature’s energy that aligns your spirit, amplifies your strengths, and guides your journey.”