You are currently viewing লিটন দেওয়ান চিশতী-Liton Dewan Chishti

লিটন দেওয়ান চিশতী-Liton Dewan Chishti

লিটন দেওয়ান চিশতী ১৯৭৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দেওয়ান পরিবারের এক আধ্যাত্মিক পরিবেশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, মোঃ আব্দুস ছাত্তার দেওয়ান চিশতী, ছিলেন একজন প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা এবং চিশতীয়া তরিকার অনুসারী। শৈশব থেকেই লিটন দেওয়ান আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীর আগ্রহ অনুভব করতেন। তার পিতার প্রভাবে তিনি আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং আধ্যাত্মিক সাধনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন।

শৈশব থেকেই তার মধ্যে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা ছিল, যা তাকে অন্যান্য শিশুদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। তিনি খেলাধুলার চেয়ে ধ্যানমগ্ন থাকতে পছন্দ করতেন। তার মধ্যে এক ধরণের আধ্যাত্মিক বোধ ছিল, যা তাকে আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। তিনি বলতেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি অনুভব করেছি, আমার জীবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সাধারণ জীবনযাপন নয়, বরং কিছু আলাদা এবং বিশেষ কিছু করার।”

জ্যোতিষশাস্ত্র

জ্যোতিষশাস্ত্র প্রাচীনকাল থেকেই মানব সভ্যতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটি একটি বিজ্ঞান, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রভাব নিয়ে বিকাশ লাভ করেছে। ভারত, মিশর, গ্রীস, এবং মেসোপটেমিয়া জ্যোতিষশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশে জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা অনেক পুরনো, তবে এই শাস্ত্রের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি তেমন একটা ছিল না। কিন্তু জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতীর আগমন এই ধারায় একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে জ্যোতিষশাস্ত্রকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রেখেছেন।

জ্যোতিষশাস্ত্রকে তিনি কেবলমাত্র ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যম হিসেবে দেখেন না; বরং এটি মানব জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রদান করে এবং আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে সহায়ক হয়। লিটন দেওয়ান চিশতী বিশ্বাস করেন যে, জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, এবং সম্ভাবনাগুলি আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পারি। তিনি বলেন, “জ্যোতিষশাস্ত্র কেবলমাত্র ভবিষ্যদ্বাণীর একটি মাধ্যম নয়, বরং এটি জীবনের সার্বজনীন নির্দেশনা এবং আত্ম-উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।”

 আধ্যাত্মিক সাধনা এবং গুরুর আশীর্বাদ

লিটন দেওয়ান চিশতীর আধ্যাত্মিক জীবন শুরু হয় তার পিতার কাছ থেকে। তার পিতা ছিলেন তার জীবনের প্রথম গুরু, যিনি তাকে আধ্যাত্মিকতার প্রথম পাঠ দিয়েছিলেন। পিতার দিকনির্দেশনা ও আশীর্বাদে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। পরবর্তী সময়ে, তিনি বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করেন এবং তাদের আশীর্বাদ লাভ করেন।

লিটন দেওয়ান চিশতীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন তিনি ভারতের বিখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর দরবার শরীফে যান। সেখানে তিনি ২৩তম বংশধর হযরত সৈয়দ হাসনাইন চিশতী (রহ.)-এর নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন। এই খেলাফত তার আধ্যাত্মিক জীবনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। তিনি চিশতীয়া তরিকার আধ্যাত্মিক আলোতে আলোকিত হয়ে নিজেকে মানুষের সেবায় নিবেদিত করেন।

তিনি তার আধ্যাত্মিক সাধনা এবং মানবসেবার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার এই উদারতা এবং সহানুভূতি তাকে মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আধ্যাত্মিকতার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের সেবা করা। যখন আমরা মানুষকে সাহায্য করি, তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারি।”

আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন

লিটন দেওয়ান চিশতী কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তার আধ্যাত্মিকতা, জ্যোতিষশাস্ত্রে অভিজ্ঞতা এবং রত্নপাথর বিশারদ হিসেবে দক্ষতা তাকে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি এনে দিয়েছে। তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে তার অনুসারীদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তার পরামর্শ এবং ভবিষ্যদ্বাণীগুলি অত্যন্ত সঠিক হওয়ার কারণে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

বিশেষত, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, ভারতের আজমীর শরীফ এবং পাকিস্তানের লাহোরে তার ভক্ত ও অনুসারীরা রয়েছেন। তারা লিটন দেওয়ান চিশতীর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছেন।

জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে জীবনের দিকনির্দেশনা

জ্যোতিষশাস্ত্রে লিটন দেওয়ান চিশতী একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি এতটাই সঠিক যে, তার অনুসারীরা তাকে “জ্যোতিষরাজ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তার মতে, “জ্যোতিষশাস্ত্র আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, যদি আমরা তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করি। এটি আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলি স্পষ্টভাবে দেখতে সাহায্য করে।”

লিটন দেওয়ান চিশতী বিশ্বাস করেন যে, জ্যোতিষশাস্ত্র কেবলমাত্র ভবিষ্যদ্বাণীর একটি মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি জীবন দর্শন যা মানুষের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য নিয়ে আসে। তিনি তার ভক্তদের জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে জীবনের দিকনির্দেশনা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেন এবং তাদের জীবনের সমস্যাগুলি সমাধানে সাহায্য করেন।

রত্নবিশারদ হিসেবে বিশেষ অবদান

জ্যোতিষশাস্ত্রের পাশাপাশি, লিটন দেওয়ান চিশতী একজন অভিজ্ঞ রত্নবিশারদও। তিনি রত্নপাথরের গুণাবলী, প্রভাব, এবং তাদের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন। তার মতে, “প্রত্যেক রত্নপাথরেরই একটি বিশেষ শক্তি রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, এবং শান্তি নিয়ে আসে।”

তিনি আজমেরি জেমস হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রত্ন বিপণি। এখানে পৃথিবীর সব দুর্লভ এবং মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায়। তার রত্নপাথরের ব্যবসা বাংলাদেশের রত্ন বাজারে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তিনি রত্নপাথর সম্পর্কে তার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা তার ভক্তদের সাথে শেয়ার করেন এবং তাদের জীবনে রত্নপাথরের সঠিক ব্যবহার করতে সাহায্য করেন।

আজমেরি জেমস হাউস তার নেতৃত্বে একটি বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। তার কাছ থেকে ক্রয়কৃত প্রতিটি রত্নপাথর পরীক্ষা করা হয় এবং সেগুলির গুণমান নিশ্চিত করা হয়। তিনি রত্নপাথরের বাজারে একটি নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন, যা তার ব্যবসায়িক সাফল্যের মূল কারণ।

মানবসেবা ও সামাজিক দায়িত্ব

লিটন দেওয়ান চিশতী তার আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি মানবসেবার কাজেও অত্যন্ত সক্রিয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং তার অনুসারীদেরও এই ধরনের কাজে উৎসাহিত করেন। তার মতে, “আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত অর্থ হলো মানুষের সেবা করা। যখন আমরা অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসি, তখনই আমরা প্রকৃত আধ্যাত্মিকতা উপলব্ধি করতে পারি।”

তিনি বিভিন্ন সময়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, গরীব ছাত্রদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সমাজে তার অবদান রেখে যাচ্ছেন। তার এই উদারতা এবং সহানুভূতি তাকে মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।

মাজার জিয়ারত এবং ধর্মীয় কার্যক্রম

লিটন দেওয়ান চিশতী অত্যন্ত ধার্মিক একজন মানুষ। সময় পেলেই তিনি বিভিন্ন মাজার জিয়ারত করতে চলে যান। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও অনেক মাজার জিয়ারত করেছেন এবং ওমরাহ পালন করেছেন। ভারতের আজমীর শরীফে তিনি বহুবার গিয়েছেন। তার অনুসারীদের সাথে তিনি সুফি সাধকদের বয়ান, পাণ্ডিত্য, এবং জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন।

মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেন এবং এটি তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বিশ্বাস করেন যে মাজার জিয়ারত মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটাতে পারে এবং এটি আধ্যাত্মিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি তার ভক্তদের মাজার জিয়ারতের প্রতি উৎসাহিত করেন এবং এটি তাদের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায় বলে মনে করেন।

আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা এবং দিকনির্দেশনা

লিটন দেওয়ান চিশতী আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। তিনি তার ভক্তদের আধ্যাত্মিকতার মূলনীতি এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, আধ্যাত্মিকতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তার মতে, “আধ্যাত্মিকতা কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, এটি একটি জীবনযাত্রার পদ্ধতি। এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি, সুখ, এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।”

লিটন দেওয়ান চিশতী তার ভক্তদের আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করেন। তিনি তাদের জীবনের সমস্যাগুলি সমাধানে আধ্যাত্মিকতার ব্যবহার সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তার শিক্ষার মাধ্যমে তিনি একটি আধ্যাত্মিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে মানুষ একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে এবং সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।

উপসংহার

জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী তার আধ্যাত্মিকতা, জ্যোতিষশাস্ত্রে দক্ষতা, এবং রত্নপাথর ব্যবসায় তার বিশেষ অবদানের মাধ্যমে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতার মূলনীতিগুলি প্রয়োগ করেছেন এবং তার ভক্তদেরও এই পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন। তার জীবন এবং কর্ম আমাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, আধ্যাত্মিকতা এবং মানবসেবা আমাদের জীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করতে পারে।

লিটন দেওয়ান চিশতীর এই আধ্যাত্মিক যাত্রা এবং তার অবদান সমাজের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তার ভবিষ্যদ্বাণী এবং রত্নপাথরের প্রভাব অনেকের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, এবং শান্তি নিয়ে এসেছে। তিনি একটি প্রমাণিত সত্য যে, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারি। তার জীবন এবং কর্ম আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যা আমাদেরকে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যগুলি স্পষ্টভাবে দেখতে সাহায্য করে এবং আমাদের জীবনে শান্তি, সুখ, এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

যোগাযোগ

জ্যোতিষ রাজের দর্শন পেতে আপনাকে যেতে হবে আজমেরি জেমস হাউসে।

ঠিকানা: লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।

মোবাইল: ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪

ইমেইল: info@ajmerigemshousebd.com

Leave a Reply