প্রকৃত সিট্রিন পাথর চেনা সত্যিই সহজ নয়, কারণ এই পাথর স্বাভাবিকভাবে নানা ধরনের গঠন, রঙের ভিন্নতা ও ইনক্লুশনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রকৃত সিট্রিন কখনো খুব ফিকে লেবু রঙের হয়, আবার কখনো হালকা হানি ইয়েলো, সিট্রিন পাথর বা স্বচ্ছ সোনালি আভা নিয়ে দেখা যায়। অপরদিকে বাজারে নকল বা হিট-ট্রিটেড সিট্রিন এতটাই নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করা হয় যে সাধারণ মানুষের জন্য আসল-নকল পার্থক্য করা বেশ কঠিন হয়ে যায়। তবে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে আপনি অনেকটাই নিশ্চিতভাবে আসল সিট্রিন শনাক্ত করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে এর প্রাকৃতিক রঙের কোমলতা, সামান্য ইনক্লুশন থাকা, তাপমাত্রায় ঠান্ডা অনুভূতি, অতিরিক্ত চকচকে না হওয়া ইত্যাদি। পাশাপাশি রঙের অসমতার মতো ছোট পার্থক্যগুলোও এর প্রকৃতত্ব নির্দেশ করে। সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা শিখলে যে কেউ সিট্রিনের আসল-নকল পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
উপাদানগত বৈশিষ্টঃ সিট্রিন পাথর মূলত একটি সূক্ষ্ম ও স্বচ্ছ সিলিকেট মিনারেল, যা কোয়ার্টজ পরিবারের অন্তর্গত। এর গঠনে থাকে প্রাকৃতিক সিলিকা (SiO₂), যার সাথে বিভিন্ন অক্সাইড উপাদান, বিশেষ করে আয়রন অক্সাইডের অতি সামান্য পরিমাণ মিলিত হয়ে এর অনন্য হলুদ থেকে হানি-ইয়েলো রঙ সৃষ্টি করে। প্রাকৃতিক অবস্থায় সিট্রিন অনেক সময় অতি সূক্ষ্ম জলীয় সিলিকা হাইড্রেট, ক্ষুদ্র ইনক্লুশন এবং ভৌত রাসায়নিক কণার সংমিশ্রণে গঠিত হয়, যা পাথরটির স্বচ্ছতা ও রঙে বৈচিত্র্য এনে দেয়। এ ধরনের অভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ সিট্রিনকে শুধু আকর্ষণীয়ই করে না, বরং এর গঠনগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও প্রদান করে। এই খনিজে থাকা হালকা ইনক্লুশন, মাইক্রো-ক্র্যাক ও অক্সাইড লেয়ারগুলো প্রাকৃতিক সিট্রিনকে নকল বা হিট-ট্রিটেড পাথর থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভূগর্ভে উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের দীর্ঘ প্রভাব এবং বিভিন্ন রাসায়নিক স্তরের পরিবর্তনের কারণে সিট্রিনের এই অনন্য কাঠামো তৈরি হয়—যা তাকে কোয়ার্টজ পরিবারের অন্যতম মূল্যবান রত্নে পরিণত করেছে।
স্পষ্টতাঃ সিট্রিন সাধারণত তার স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বলতার উপর ভিত্তি করে সহজেই চিনে নেওয়া যায়, কারণ প্রাকৃতিক সিট্রিনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরিষ্কার ও কোমল স্বচ্ছতা। তবে এটি সবসময় পুরোপুরি স্বচ্ছ না-ও হতে পারে—কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে গঠিত হওয়ার কারণে এর ভেতরে বিভিন্ন ইনক্লুশন, ক্ষুদ্র ফাটল বা অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা থাকতে পারে। সিট্রিন পাথর, এসব ছোটখাটো অস্পষ্টতা অনেক সময় প্রমাণ করে যে পাথরটি সত্যিকার অর্থে প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এবং নকল বা কৃত্রিমভাবে তৈরী নয়। অন্যদিকে, বাজারে পাওয়া অনেক নকল বা heat-treated পাথর অত্যন্ত বেশি স্বচ্ছ ও একদম “পারফেক্ট” দেখা যায়, যা প্রাকৃতিক সিট্রিনের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল খায় না। ফলে স্বচ্ছতার মাত্রা এবং অস্পষ্টতার ধরন—এই দুটি দিক ভালোভাবে পরীক্ষা করলে আসল সিট্রিন ও নকল পাথরের পার্থক্য নির্ণয় করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়। আসল পাথরে থাকা এই ছোট ছোট প্রাকৃতিক ত্রুটি বা ইনক্লুশনই বরং এর আসলত্বের অন্যতম প্রমাণ।
প্রতিবাহঃ আসল সিট্রিন পাথরের প্রতিবাহ অনেকটা আলোর মতো হতে পারে। যদিও এর প্রতিবাহের উজ্জ্বলতা এবং জারা গ্রন্থিত অংশের উপর ভিত্তি করে পাথরের আসলতা চেনা যেতে পারে।

মোহস্কেলঃ সিট্রিন পাথর মোহস্কেল অনুযায়ী সিট্রিন পাথরের কঠোরতা সাধারণত ৭ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে থাকে, যা এটিকে মধ্যম-উচ্চ কঠোরতার মিনারেল হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। এই কঠোরতা সিট্রিনকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী করে তোলে, কারণ এটি সহজে স্ক্র্যাচ পড়ে না এবং দীর্ঘদিন এর স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাও ধরে রাখে। তবে এই মোহস্কেল পরিমাপ ও পাথরের প্রকৃত মান যাচাই করা একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যা অভিজ্ঞ গণিতবিদ, মিনারেল পরীক্ষক এবং সনাক্তকরণ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সম্পন্ন হওয়া জরুরি। অপরিচিত বা অদক্ষ ব্যক্তির মূল্যায়নে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা সবসময় থেকেই যায়। এই বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করার জন্য অনেকেই অভিজ্ঞ জ্যোতিষ ও সনাক্তকরণ বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হন, সিট্রিন পাথর যারা জন্মকুণ্ডলী, পাথরের গঠন, শক্তিক্ষেত্র এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত প্রভাব বিশ্লেষণ করে সঠিক পরামর্শ দিতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্ভরযোগ্যভাবে সহায়তা করতে পারেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।
মনে রাখবেন মঙ্গলবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। আর আপনি যদি আসল সিট্রিন পাথর কিনতে চান তাহলে আজই চলে আসুন
জ্যোতিষরাজের সাথে যোগাযোগের ঠিকানাঃ
আজমেরী জেমস হাউজ, লেভেল -০১, ব্লক-ডি, দোকান নং-৭৩, ৭৪,৮৭,১০০, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা।
মোবাইলঃ ০১৭৬৩৩৫৫০৯০, ০১৭১১৫৯৪০৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৮৮, ০১৭৭৭০০৩৩৪৪৩
Email: info@ajmerigemshousebd.com
আপনি চাইলে অনলাইন থেকেও কিনতে পারেন ajmerigemshouse.com
প্রতারিত না হতে চাইলে আজই চলে আসুন আজমেরী জেমস হাউজে।